জেনারেল মিলে আরও বলেন, যুদ্ধরত রুশ সেনাদের চলতি বছরের মধ্যে ইউক্রেন থেকে বিতাড়িত করাও ‘খুবই কঠিন’ হবে। একই সঙ্গে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডগুলো পুনরুদ্ধার করাটাও খুব কঠিন হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা গত সপ্তাহের শুরুতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফর করেন। ওই সময় তিনি এবারের বসন্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ জোরদার করার লক্ষ্যে ইউক্রেনের শক্তি বাড়াতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে সমন্বয় আনার ওপর জোর দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেন, পশ্চিমা মিত্ররা যে পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে, কিয়েভ যুদ্ধক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি অস্ত্রের ব্যবহার করছে।
জেনারেল মিলে বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের একটি শিক্ষা হলো—প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের বহুল ব্যবহার। এ জন্য আমরা আমাদের নিজস্ব অস্ত্রের মজুত ও পরিকল্পনাগুলো নতুন করে যাচাই করে দেখছি। যাতে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি এবং বাজেটে তা যুক্ত করতে পারি। কেননা, গোলাবারুদ খুবই ব্যয়বহুল।’
যুক্তরাষ্ট্রে এখনকার সামরিক বাজেটের আকার ৮১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের বড় বড় ১০টি সামরিক শক্তির সমন্বিত বাজেটের বেশি। তার ওপর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা হিসেবে ১১ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ অনুমেদান দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। নিজস্ব মজুতের অস্ত্র ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকেই।
ইউক্রেনের এখনকার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের জেনারেল মিলে বলেছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ও কৌশলগতভাবে রাশিয়া অনেক কিছু হারিয়েছে। তারা (রাশিয়া) যুদ্ধক্ষেত্রে একটি বিশাল মূল্য পরিশোধ করছে।