ফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত শুরু করে সিলেট। প্রথম ওভারে বল করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। সেই ওভারে আসে ১৮ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় সিলেট। তানভীরের ঘূর্ণিতে বোল্ড হন চলতি আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তৌহিদ হৃদয়। তার আউটের পর ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। তিনিও টিকতে পারলেন না। ৪ বলে ১ রান করেই ফিরতে হলো সিলেট অধিনায়ককে। রাসেলকে তুলে মারতে গিয়ে কাভারে কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুলের হাতে ক্যাচ তুলেছেন। সিলেট দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ২৬ রানে।
দুই উইকেট হারানোর পর শান্ত-মুশফিকের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। শান্ত ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে সাজঘরে ফেরেন ৬৪ রান করে। ৩১ বলে ৪৪* রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। ক্রিজে নতুন ব্যাটার রায়ার্ন বার্ল।
১৪.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানে ব্যাট করছে সিলেট।
দেখতে দেখতে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে আজ পর্দা নামছে দেড় মাসব্যাপী এই আসরের। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় শুরু হয়েছে শিরোপা নির্ধারণী এই মহারণ।
ফাইনালের এই মঞ্চে টস জিতেছে কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল। টসে জিতে মাশরাফির সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার দলনেতা ইমরুল কায়েস। এই নিয়ে চতুর্থবার ফাইনালের মঞ্চে কুমিল্লা। অন্য দিকে প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলতে নামে সিলেট। দুই দলই তাদের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেছে। কুমিল্লা-সিলেট দু’দলই ফাইনালের মঞ্চে নেমেছে শক্তিশালী একাদশ নিয়ে।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, থিসারা পেরেরা, রায়ান বার্ল, জর্জ লিন্ডে, লুক উড এবং রুবেল হোসেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মঈন আলী, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল এবং জনসন চার্লস।