এলিমিনেটর ম্যাচে সোহানের রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সাকিবের ফরচুন বরিশাল ভালোই লড়াই করেছে। তবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মাশরাফি মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার কুমিল্লার বিপক্ষে ওই লড়াই দেখাতে পারেনি। লিটন দাস-ইমরুল কায়েসদের কুমিল্লা ১৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
হারলেও সাকিবের বরিশালের মতো আসর শেষ হচ্ছে না মাশরাফিদের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহানদের রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে। নিয়ম অনুযায়ী, এলিমিনেটরে জয়ী ও প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের মুখোমুখি হওয়ার কথা। ওই ম্যাচের জয়ী দল ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে কুমিল্লার মুখোমুখি হবে।
বিপিএলের গ্রুপ পর্বে অসাধারণ খেলেছে সিলেট। সবার আগে শেষ চার ও কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করা দলটি ফাইনালের লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়। মাত্র ১৬ রানে তারা তিন উইকেট হারায়। ওই বিপদে এগিয়ে আসেন মাশরাফি মর্তুজা। তিনি পাঁচে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজমুল শান্তর সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।
ম্যাশ দরকারি ইনিংস খেললেও তার দল বিপদ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১১ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তোলে সিলেট। নাজমুল শান্ত ২৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করে ফিরে যান। মুশির ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে চারটি চারে ২৯ রানের ইনিংস। জর্জ লিন্ডে ১৩ রান করেন। সিলেটের বাকি সাত ব্যাটার যোগ করেন ১৩ রান। চারজন শূন্য রানে আউট হন।
জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩২ রান যোগ করে কুমিল্লা। লিটন ফিরে যান ৭ রান করে। এরপর জনসন চার্লস ৪ ও ইমরুল কায়েস ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ম্যাচে ফেরায় আভাস দেয় সিলেট। তবে ওপেনিংয়ে নামা সুনীল নারিন খেলেন ১৮ বলে চারটি ছক্কা ও তিন চারে ৩৯ রানের ইনিংস। পরে মঈন আলী ২১ রান ও জাকের আলী শূন্য রান করে আউট হলেও ফাইনালে যেতে বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লার। মোসাদ্দেক ২৭ বলে হার না মানা ২৭ ও আন্দ্রে রাসেল ১০ বলে ১৭ রান করে দলকে জয় এনে দেন।
কুমিল্লার হয়ে আন্দ্রে রাসেল ও মুস্তাফিজুর তিন ওভার করে হাত ঘুরিয়ে যথাক্রমে ২২ ও ২৫ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। তানভির ইসলাম ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। সিলেটের রুবেল হোসেন ৩.৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। কুমিল্লা বিপিএলের সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন দল।