ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ফাটলগুলোর সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর দ্য অবজারভেশন অ্যান্ড মডেলিং অব আর্থকুয়াকস, ভলকানোস অ্যান্ড টেকটোনিকসের (কমেট) বিজ্ঞানীরা। সেন্টিনেল-১ নামের একটি স্যাটেলাইট থেকে ভূমিকম্পের আগে ও পরে তোলা ছবি যাচাই করে ফাটল দুটি খুঁজে বের করেছেন তাঁরা।
সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেদিন ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর ৯ ঘণ্টা পরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। এসব ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি আকাশছোঁয়া।
গতকাল শুক্রবার এক টুইট বার্তায় কমেট জানায়, দুটি ফাটলের মধ্যে বড়টি ভূমধ্যসাগরের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত থেকে আরও উত্তর-পূর্বে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়েছে। দ্বিতীয় ফাটলটি ১২৫ কিলোমিটার। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানার সময় এ ফাটল সৃষ্টি হয়।
ফাটল দুটি নিয়ে কমেটের প্রধান টিম রাইট বলেন, ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হওয়া ফাটলটি দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে একটি রেকর্ড। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার বিষয়টিও অস্বাভাবিক।
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের অনেক ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছেন উপদ্রুত অঞ্চলের মানুষ। সেখানেও ভূখণ্ডে দীর্ঘ ফাটল দেখা গেছে। কমেট জানিয়েছে, ওই ফাটলগুলোই মহাকাশ থেকে সেন্টিনেল-১ স্যাটেলাইট ধারণ করেছে।
সেন্টিনেল-১ ফাটলের ছবিগুলো তুলেছে শুক্রবার সকালে। এ সময় সেটি ভূপৃষ্ঠের ৭০০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে তুরস্কের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। সেন্টিনেল-১ দিন ও রাতের যেকোনো সময় ভূপৃষ্ঠের ছবি তুলতে পারে। এ ছাড়া ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলো খতিয়ে দেখে সেটি।