জ্বালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সরকারের হুঁশিয়ারির মধ্যেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রোলের ঘাটতি জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। খবর: ডন অনলাইন’র।
পাঞ্জাবের শহরাঞ্চলের চেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জ্বালানি সংকট তীব্র। অনেক জ্বালানি স্টেশনে গত এক মাস ধরে তেলের সরবরাহ নেই।
এ সংকটের জন্য পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিডিএ) নেতারা তেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ না করাকে দুষছেন। এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বিপণন কোম্পানিগুলোর সমিতি ওএমএসি অবশ্য বলছে, দাম বাড়বে এই আশায় বাড়তি মুনাফার লোভে কতিপয় পাম্প মালিক মজুতদারি করে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করছে।
পিপিডিএ’র তথ্য সম্পাদক খাজা আতিফ ডনকে বলেন, বর্তমানে লাহোরের সাড়ে চারশ পাম্পের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে পেট্রোল নেই। ওএমসি সরবরাহ সংকুচিত করে রেখেছে। দুটি সরকারি আর একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি মিলে ওএমসি। এরা আগে এসব করেনি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও ওঠেনি। এরাও এখন অন্য খাতের মতো এই খেলা শুরু করেছে। গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, শেখপুরা, সারগোদা, শাহিওয়াল, কসুর জেলার কিছু কিছু পাম্প তো তেল সরবরাহ নেই বলে অনেকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।’
পাকিস্তানের খনিজসম্পদ মন্ত্রী মুসাদিক মালিক বৃহস্পতিবার বলেন, পাঞ্জাবের দুই জেলায় ৯০০টিরও বেশি জায়গায় বুধবার রাতে মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে এবং তেল মজুতদারির দায়ে সাতটি পেট্রোল পাম্পকে পৌনে আট লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।