এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ও সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানলের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ওই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এ জন্য শ্রমিকদের কোনো টাকা দিতে হবে না। একজন বাংলাদেশি যতবার ইচ্ছা, ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন । পরীক্ষা দিয়ে সনদ পাওয়ার পর এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতিমধ্যে এই ধরনের পরীক্ষা ভারত ও পাকিস্তানে চালু হয়েছে। প্রথাগত শ্রমিকদের এ ধরনের কোনো পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না। কিন্তু ওই পাঁচ খাতে সৌদি আরবে কাজ করতে হলে সনদ লাগবে।
ওই সনদের সুবিধার বিষয়ে ইসা বিন ইউসুফ বলেন, জনশক্তিতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশের লাভ আছে। দ্বিতীয়ত, সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অন্য শ্রমিকদের চেয়ে বেশি দক্ষ বলে বিবেচিত হবেন। তৃতীয়ত, তাঁরা বেশি আয় করার সুযোগ পাবেন।
সনদ পরীক্ষার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আরবি ভাষা ও কিছু রীতিনীতি এবং তাঁরা নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারেন কি না, সেটি আমরা দেখব।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একাধিক সৌদি ব্যবসায়ী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
নতুন এই ব্যবস্থার কারণে প্রথাগত শ্রমিকদের সৌদি আরবে যেতে কোনো বাধা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা পাঁচ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দিচ্ছি।’
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘আমরা হয়তো দক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে থাকি, কিন্তু তাঁদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এই সনদের মাধ্যমে ওই শ্রমিকদের দক্ষতার সনদ দেওয়া হবে এবং সেটি দেবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাকানলের মাধ্যমে ওই সনদ দেওয়া হবে।’
তাকানলের মহাপরিচালক ফাহাদ আলকাসিম বলেন, ‘সৌদি আরবে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের দক্ষতা আমরা যাচাই করতে চাইছি।’