২০১৭ সালে বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। মূলত, নিজের দেশ শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যদিও বিপুল অংকের পারিশ্রমিকও একটা বড় কারণ ছিল।
শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের সময়টা মোটেও সুখকর হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর মোটা অংকের বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী। বোর্ডের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে খিটিমিটি লেগেই ছিল। শেষ পর্যন্ত অনেক নাটকের পর তাঁকে বরখাস্ত করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
বাংলাদেশের কোচ হিসেবেও প্রথম মেয়াদে বিতর্কে জড়িয়েছেন হাথুরুসিংহে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় কিছু সাফল্য এসেছে তাঁর সময়েই। ২০১৫ সালে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডে ওয়ানডে জয়, সে বছরই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ছাড়াও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ তাঁর অধীনে।
হাথুরুসিংহের সময় টেস্ট ক্রিকেটেও বলার মতো কিছু সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয় এবং কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল।
‘কড়া হেডমাস্টার’ হিসেবে খ্যাতি ও কুখ্যাতি দুটোই আছে হাথুরুসিংহের। বলতে গেলে, অনেকটা অপেশাদারের মতো প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়লেও, অনুমান করা যায় হাথুরুসিংহের কড়া মনোভাবই তাঁকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে টেনেছে বিসিবিকে।
তবে সাফল্য বিচারে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথম মেয়াদে হাথুরুসিংহেকে সফলই বলতে হবে। এবার বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুসিংহে কেমন করেন সেটাই বড় কৌতুহল।