অস্কার জয়ী সিনেমা ‘ফরেস্টগাম্প’ অনেকেই দেখেছেন। ওই সিনেমায় অনুপ্রেরণায় বলিউডে নির্মাণ করা হয়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’। সিনেমার মতো দীর্ঘ ম্যারাথনের স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। স্বপ্ন দেখেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার। ম্যারাথনে অংশ নিতে কারো বাধাও নেই। কিন্তু শুরু করে অনেকেই শেষ করতে পারেন না। পৌঁছাতে পারেন না লক্ষ্যে।
অস্ট্রেলিয়ার নারী দৌড়বিদ অর্চনা মুরে বার্থলেট পেরেছেন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে পাঁচ মাস ধরে দৌড়েছেন তিনি। একে একে সম্পন্ন করেছেন ১৫০টি ম্যারাথন। আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার কেপ ইয়র্ক থেকে দৌড় শুরু করে পৌঁছেছেন দেশের দক্ষিণ প্রান্তে।
এই সময়ে ছয় হাজার ৩০০ কিলোমিটার বা তিন হাজার ৯০০ মাইল দৌড়েছেন তিনি। ম্যারাথনে একমাত্র নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৫০টি ম্যারাথন সম্পন্ন করার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে ব্রিটেনের নারী দৌড়বিদ কেড জেডেন ১০৬টি ম্যারাথন সম্পন্ন করেছিলেন।
অর্চনা ১০৭টি ম্যারাথন সম্পন্ন করেই রেকর্ড বুকে নাম তোলেন। এরপর সম্পন্ন করেন নিজের নির্ধারণ করা লক্ষ্য। টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পরে নতুন স্বপ্ন দেখে তা পূরণ করেছেন ৩২ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান।
তিনি দৌড় শুরু করেছিলেন একটা বিশেষ লক্ষ্যে। প্রাণী এবং পরিবেশ রক্ষার ব্রত নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ছিল তার উদ্দেশ্য। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু জীববৈচিত্র দ্রুত ধ্বংসের তালিকায় দেশটি উপরের দিকে আছে। অর্চনা সচেতনাতা সৃষ্টির পাশাপাশি ‘ওয়াইল্ডারনেস সোসাইটির’ জন্য এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ফান্ড সংগ্রহ করেছেন।
মেলবোর্নে রেকর্ড যাত্রা শেষ করে অচর্না স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি অপ্রতিরোধ্য, উজ্জ্বীবিত। আমি যে সমর্থন পেয়েছি তা ছিল অসাধারণ এবং শেষটায় সকলে আমার সঙ্গে দৌড়াচ্ছিল। যা মুহূর্তটাকে আরও বিশেষ করে তুলেছিল। আমি মনে করি, উদযাপন করার জন্য রাতটা দারুণ হবে।’