বৃহস্পতিবার দেশমের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর ফ্রান্সের আরএমসি স্পোর্টসকে একটি সাক্ষাৎকার দেন গ্রায়েত। সেখানে জিদানের প্রসঙ্গও উঠে আসে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন। তবে ফ্রান্সের কোচ হওয়ার ইচ্ছে আছে বলে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন নিজের দেশেরও দায়িত্ব না পাওয়ায় তিনি হয়তো ব্রাজিলের কোচ হতে পারেন—এই প্রসঙ্গে গ্রায়েত বলেন, ‘জিদান ব্রাজিলে? আমার কিছু আসে–যায় না। সে যা চায়, করুক। আমার ভাবার বিষয় নয় এটা। ওর সঙ্গে আমি কখনোই এ নিয়ে আলাপ করিনি। দেশমের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের কথা আমরা কখনোই ভাবিনি।’
জিদান রিয়াল মাদ্রিদের কোচের চাকরি ছাড়েন ২০২১ সালের মে মাসে। এরপর কোনো ক্লাবে তিনি যোগ দেননি। এ ক্ষেত্রে ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার চিন্তাই মূল কারণ ছিল বলে খবর ফরাসি গণমাধ্যমে। কিন্তু ফরাসি ফুটবল কর্তৃপক্ষ বর্তমান কোচকে নিয়েই সামনে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে নতুন করে সামনে এগোনোর সুযোগ ছিল কি না, আরএমসির সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে গ্রায়েত বলেন, ‘আমি জানি না, সামনে আগানো বলতে কী বোঝাচ্ছেন। হ্যাঁ, পদটির জন্য আশপাশেই ছিল জিদান। তার প্রচুর সমর্থক। কেউ কেউ অপেক্ষা করেছে দেশম কত দ্রুত চলে যাবে। কিন্তু দেশমকে দোষারোপের জায়গা কোথায়?’
জিদানকে কোচ বানানোর বিষয় নিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবরের সমালোচনা করেন গ্রায়েত, ‘কিছু সাংবাদিক জানে না, কী লিখতে হবে। তারা ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি লেখে। সত্যি বলতে, যারা জিদান ব্রাজিলে চলে যাবে বলে আগাম নিন্দা করে, তাদের আমি কখনোই আমলে নিই না। সে ব্রাজিলে গেলে যাক। যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে।’
একপর্যায়ে গ্রায়েত বলে ওঠেন, ‘জিদান যদি আমাকে ফোন করত, তাহলে কী হতো? নিশ্চিতভাবে কিছুই হতো না। আমি ওর ফোনই তুলতাম না।’
ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধানের এসব মন্তব্য ভালো লাগেনি এমবাপ্পের। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা এমবাপ্পে নিজের ক্ষোভের কথা বোঝাতে আশ্রয় নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের। ২৪ বছর বয়সী পিএসজি তারকা লিখেছেন, ‘জিদানই ফ্রান্স, কিংবদন্তিকে আমরা এভাবে অসম্মান করতে পারি না।’