গত ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্গে কিছু খাদ্যশস্য ও মাংসের দাম কমে যাওয়া। তবে বিশ্ববাজারে চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম এখনো তুলনামূলক বেশি।
বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে দায়ী করা হয়। কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধের আশঙ্কা থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। তবে জাতিসংঘ-সমর্থিত শস্য চুক্তির কারণে ওই বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হওয়ার পর খাদ্যশস্যের দাম কমতে শুরু করে।
এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমবে। টানা চার বছর বিশ্বে উৎপাদনের ঊর্ধ্বগতির পর এবারই প্রথম খাদ্যশস্য উৎপাদন কমতে পারে। ২০২১ সালের তুলনায় এ অর্থবছরে ১ কোটি ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য কম উৎপাদন হতে পারে।