জ্বালানি তেলের দাম আপাতত কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিপিসি চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, পেট্রোল-অকটেনে লাভ হলেও ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি প্রতি লিটারে ২-৩ টাকা লোকসান করছে। এ কারণে দেশে জ্বালানি তেলের দাম আপাতত কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি জানান, গত নভেম্বরে বিপিসি জ্বালানি তেল বিক্রি করে ৪৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে। এর মধ্যে ডিজেল বিক্রিতে লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমছে, দেশে তেলের দাম কমবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ বি এম আজাদ বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
নভেম্বরে ব্যারেলপ্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২-৩ টাকা লোকসান হচ্ছে। পরিশোধিত ডিজেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার হলে লোকসান গুনতে হয় না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২৭ ডলারে উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট ৫২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয় ডিজেল ও পেট্রোলের।
তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়তির দিকে। চলতি মাসে ৭০ থেকে ৮০ ডলারে ওঠানামা করছে প্রতি ব্যারেল ক্রুড অয়েলের দাম।