রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে এক সপ্তাহ আগে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং হয়ে যায়। তারপরও মানুষ কক্ষ খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যে কিছু পর্যটক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে চলে গেলেও অধিকাংশ রয়ে যান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শত শত পর্যটককে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে মাইকিং করা হয়। এতে যাঁরা কক্ষ পাননি, তাঁদের ক্লাবঘরে যেতে বলা হয়, সেখানেও স্থান সংকুলান হয়নি। পরে বিভিন্ন রিসোর্ট-কটেজের বারান্দা, স্টোররুম, ক্লাব ঘর, রুইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও গাড়িতে শত শত পর্যটক ঘুমিয়েছেন। অনেকে রাস্তায় হেঁটে রাত কাটিয়েছেন।
রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১১২টি রিসোর্ট-কটেজে গাদাগাদি করে থাকলে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার অতিথি থাকতে পারেন এখানে।
প্রতিদিন বাঘাইহাট থেকে সাজেকে সকাল সাড়ে ১০টা আর বেলা ৩টায় পুলিশের পাহারায় পর্যটকের গাড়িগুলো নেওয়া হয়। সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে থেকে বেলা ১১টা ও ৩টায় পর্যটকদের নিয়ে আসা হয়। গতকাল অতিরিক্ত পর্যটক সাজেকে যান। যাঁরা আগাম কক্ষ বুকিং করেননি, তাঁরা বিপাকে পড়েন।
সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্র চাকমা বলেন, ‘আমার রিসোর্টে ১০টি কক্ষ এক সপ্তাহ আগে বুকিং হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কক্ষ খালি নেই। শুধু আমার রিসোর্ট নয়, রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে কোথাও কক্ষ খালি নেই। গত রাতে তিন শতাধিক পর্যটক রাস্তায়, বারান্দায়, বিদ্যালয় ও ক্লাব ঘরে রাত কাটিয়েছেন। আজ শনিবারও পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার থেকে আগামীকাল রোববার পর্যন্ত আমাদের সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। যাঁরা কক্ষ বুকিং ছাড়া আসবেন, তাঁরা বিপাকে পড়বেন। গতকাল রাতে শত শত পর্যটককে কক্ষ দিতে পারিনি। তাঁরা বাইরে রাত কাটিয়েছেন।’