২০০১ সালে ভারত থেকে অভিনেত্রী ও মডেল অদিতি গোবিত্রিকর প্রথমবার এ মুকুট অর্জন করেন। ১৯৮৪ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারের আসরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৩ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন সারগাম। এবারের মিসেস ইন্ডিয়ার বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন অদিতি গোবিত্রিকর। সারগামকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অদিতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘অবশেষে মুকুট ফিরে আসায় আমি খুব খুশি। আমি এই যাত্রার অংশ ছিলাম।’
৩২ বছর বয়সী সারগাম মডেলিংয়ের পাশাপাশি শিক্ষকতা, কনটেন্ট রাইটার ও চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে তাঁর জন্ম হলেও সারগাম এখন বাস করেন মুম্বাইয়ে। তাঁর স্বামী আদিত্য মনোহর শর্মা এক নৌ কর্মকর্তা। বছর তিনেক প্রেম করার পর ২০১৮ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তাঁরা।
বিয়ের আগে তাঁকে মডেলিংয়ে দেখা যায়নি, বিয়ের পর মডেলিংয়ে যাত্রা করেন সারগাম। স্বামীর উৎসাহে চলতি বছরের জুনে মিসেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তিনি। ভারতের ৫৩ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়ে মিসেস ওয়ার্ল্ডের চূড়ান্ত আসরে অংশ নেন তিনি।
স্বামীর জন্যই এত দূর আসতে পেরেছেন বলে জানান সারগাম। স্বামীর উদ্দেশে সারগাম বলেন, ‘তুমি শুধু আমাকে ডানা দাওনি, আমাকে অনবরত সমর্থনও জুগিয়েছ। ছোট্ট শহরের মেয়েকে তারকায় রূপান্তরিত করেছ। সাফল্য পেতে তুমি আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছ। স্বপ্নপূরণের জন্য সব সময়ই আমাকে উৎসাহিত করেছ। ভালো মানুষ হতে আমাকে সমর্থন জুগিয়েছ। আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ। মুকুট আমার হতে পারে, তুমিই আমার রাজা।’
বাবার কাছ থেকেও প্রেরণা পাওয়ার কথা বলেছেন সারগাম। জম্মুর বাহু ফোর্টে জন্ম নেওয়া সারগামের শৈশবও কেটেছে সেখানেই। তিনি জম্মুর গান্ধীনগর উইমেন কলেজ থেকে স্নাতক করেছেন।
মিসের ওয়ার্ল্ডের এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মডেল পিয়া বিপাশা, তবে সেরার তালিকায় আসতে পারেনি।