হাসপাতাল ও প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রসববেদনা নিয়ে নাজিরহাট পৌর সদরের ‘সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে’ ভর্তি হন সাড়ে পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা নারী তাছলিমা। প্রসববেদনা বাড়া ও জরায়ুমুখ খুলে যাওয়ায় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন। এতে ধীরে ধীরে ছয়টি নবজাতকের জন্ম হয়। এর মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে নবজাতক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাত মাস পূর্ণ হলে বাচ্চাগুলো বাঁচানো যেত। সাড়ে পাঁচ মাসে জন্ম নেওয়া নবজাতক বাঁচানো কঠিন ছিল। মৃত ছয় নবজাতককে রাত আটটার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতেই তাদের দাফন করা হবে। মা তাছলিমা আকতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালের দায়িত্বরত প্রসূতি চিকিৎসক ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে একে একে সব নবজাতকের মৃত্যু হয়। প্রসূতি মা তাছলিমা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
প্রসূতি তাছলিমা আকতার বলেন, ‘আমরা আসলে কল্পনাও করিনি এ রকম কিছু ঘটবে। আল্লাহর দেওয়া উপহার আমরা সানন্দে গ্রহণ করেছিলাম। এরপর যা হয়েছে, সবই আল্লাহর ইচ্ছা।’
সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের প্রধান পরামর্শক স্বপন কুমার দত্ত রাতে বলেন, ছয়টি নবজাতক একসঙ্গে পেটে ধারণ করা কঠিন। বাচ্চাদের চাপে পূর্ণ বয়স হওয়ার আগেই ওই নারীর প্রসববেদনা ওঠে ও জরায়ুমুখ খুলে যায়। যার কারণে তাঁরা স্বাভাবিক প্রসব করিয়ে ওই নারীর জীবন ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ করেন। তাতে তাঁরা সফল হয়েছেন। ওই নারীর পরিবারও সন্তুষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আসলে পাঁচ মাস বয়সের বাচ্চা বাঁচানো কঠিন। সাত মাস বয়স হলে বাঁচানো যেত।’