আসগর ফরহাদি এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অস্কারজয়ী এ পরিচালক বলেন, ‘তারানেহের সঙ্গে আমি চারটি সিনেমায় কাজ করেছি। ইরানে চলমান বিক্ষোভে তিনি সারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সত্য সমর্থন করার কারণে তিনি এখন জেল খাটছেন। অন্যায়ের বিরোধিতা করাই এখন অন্যায় হয়ে গেছে।’ এ সময় তিনি ইনস্টাগ্রামে আরও লেখেন, ‘এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যদি অপরাধ হয়, তাহলে এই ভূখণ্ডের কোটি মানুষ অপরাধী।’
পুলিশের হেফাজতে মাসা আমিনি নামের এক নারীর মৃত্যুর জেরে অনেক দিন ধরে ইরানে চলছে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ থেকে আটক মোহসেন শেখারি নামের এক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরান সরকার। আর এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন এ অভিনেত্রী। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য এটি লজ্জা। এত রক্তপাত দেখেও তারা চুপ করে আছে।’
ইনস্টাগ্রামে করা পোস্ট ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা। এটি প্রথম নয়, এর আগেও ইরান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আটক হয়েছিলেন তারানেহ আলিদুস্তি। ২০১৮ সালে পুলিশ এক নারীকে লাঞ্ছিত করলে টুইট করে প্রতিবাদ করেন এ অভিনেত্রী। প্রতিবাদের শাস্তিস্বরূপ ২০২০ সালে পাঁচ মাস জেলে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর অভিনীত ‘লায়লাস ব্রাদার্স’ পাম ডি’অর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল। ছবিটি পুরস্কার না পেলেও প্রশংসিত হয়েছে।