ওই ছয়জনের মধ্যে আছেন কনসাল জেনারেল ঝেং জিয়াউয়ান। একজন বিক্ষোভকারীকে মারধরের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে, যদিও বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনার পর ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে দেশটির সংসদ সদস্য অ্যালিসিয়া কেয়ার্নস অভিযোগ করেছিলেন, চীনের কনসাল জেনারেল ঝেং জিয়াউয়ান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের পোস্টার টেনেছিঁড়ে ফেলেছেন। অর্থাৎ কনসাল জেনারেল ঝেং হামলার ঘটনায় জড়িত।
এ ঘটনার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছিলেন, লোকজন বেআইনিভাবে অফিস চত্বরে প্রবেশ করেছিল। যেকোনো দেশের কূটনীতিকেরাই তাঁদের অফিস চত্বরে বিক্ষোভ দমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
গত ১৬ অক্টোবরে ওই বিক্ষোভে ছিলেন গণতন্ত্রপন্থী বব চান। তিনি হংকংয়ের। ওই দিন কনস্যুলেটের মাঠে টেনে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
ওই বিক্ষোভের দিনে ছবিতে দেখা গেছে, বব চানের ওপর আক্রমণের সময় ঝেং জিয়াউয়ানও আছেন। যদিও এ কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। একজন কনজারভেটিভ এমপিও এ অভিযোগ করেছিলেন। ঝেং পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি তাঁর সহকর্মীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। বব আমার দেশকে, আমার নেতাকে গালি দিচ্ছেন। আমি মনে করি, এটা আমার কর্তব্য।’
এদিকে লন্ডনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র গতকাল বুধবার বলেছেন, যুক্তরাজ্য তাদের কর্মীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
চীন বলছে, ঝেং জিয়াউয়ানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চীনে ফিরে এসেছেন। চীনা কনস্যুলার কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক আবর্তনের নিয়মেই তিনি চীনে ফিরেছেন।