‘রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী’ ওয়াগনার মার্সেনারিদের সদর দপ্তরে ইউক্রেনের হামলা

0
170
লুহানস্কের কাদিভকায় যে হোটেলে ওয়াগনার মার্সেনারিরা অবস্থান করছিল। ছবি-বিবিসি

রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করা ওয়াগনার মার্সেনারিদের একটি সদর দপ্তরে ইউক্রেনের সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে। লুহানস্কের নির্বাসিত গভর্নর সেরহি হাইডাই বলেছেন, লুহানস্কের কাদিভকায় যে হোটেলে ওই ভাড়াটে সৈন্যরা অবস্থান করছিল, সেখানে হামলায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে হোটেলটিতে ওয়াগনারের সৈন্যরা ছিল কিনা, তা জানা যায়নি। খবর বিবিসির।

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াগনার হচ্ছে রাশিয়ার সমর্থনে তৈরি ভাড়াটে সৈন্যদের একটি বাহিনী, যারা ক্রেমলিনের স্বার্থে কাজ করে। একসময়ের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী এবং ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইয়েভগেনি প্রিগোজিন এই বাহিনীটি তৈরি করেছেন। এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যদের ক্রাইমিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, মালি এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন করা হয়েছিল।

লুহানস্কের কাদিভকা হামলা প্রসঙ্গে নির্বাসিত গভর্নর হাইডাই বলেছেন, ওই আঘাতে রাশিয়ার ভালো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে যারা আহত হয়েছেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় তাদের অর্ধেক মারা যাবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওডেসা শহরে তারা ১০টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। অন্য পাঁচটি শহরের জ্বালানি অবকাঠামোয় আঘাত করেছে, যার ফলে সেখানকার ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, ইরানের তৈরি করা ড্রোন দিয়ে এসব হামলা করছে রাশিয়া।

অন্যদিকে রাশিয়ার দখলে থাকা মারিওপোলের মস্কোপন্থী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনের একটি মিসাইল হামলায় দুজন নিহত আর অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

রাশিয়ার দখলে থাকা মারিওপোলের মস্কোপন্থী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনের একটি মিসাইল হামলায় দুজন নিহত আর অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় একটি বিনোদনকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে, যেখানে মানুষজন রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমার্স রকেট লঞ্চার দিয়ে ওই হামলা করা হয়েছে বলে তাদের দাবি।

শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা ওলেস্কি আরেস্তোভিচ ইঙ্গিত দিয়েছেন, মারিওপোল পুনর্দখল করা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে।

তিনি বলেছেন, ‘মারিওপোলের পতন হয়ে খেরসন এলাকায় (রাশিয়ার) পুরো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। সেটা ঘটলে ক্রাইমিয়ার দিকে একটি সরাসরি রুট পেয়ে যাবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। ২০১৪ সাল ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করে নিয়েছিল রাশিয়া, যা পুনরুদ্ধার করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ইউক্রেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.