প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেন, যৌনশিক্ষার বিষয়ে তাঁদের দেশে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যৌনশিক্ষার বিষয়ে আমরা খুব ভালো জানি না। তত্ত্বের চেয়ে বাস্তবতা অনেক আলাদা। এটি এমন একটি বিষয়, যেখানে আমাদের শিক্ষকদের আরও ভালোভাবে শিক্ষিত করতে হবে।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে ফ্রান্সে যৌন সংসর্গ থেকে সংক্রামিত রোগের হার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌন সংসর্গ থেকে সংক্রামিত রোগের হার কমাতে চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্স সরকার ২৫ বছরের কম বয়সী সব নারীকে বিনা মূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব দেয়। দেশটিতে ১৮ বছরের কম বয়সী তরুণীদের গর্ভনিরোধক সব সময় গ্রহণ করা ব্যয়বহুল ছিল। তাই পরে ১৮ বছরের কম বয়সী তরুণীদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে জন্মনিরোধক গ্রহণ বন্ধ না করা নিশ্চিত করতে সরকার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর পরেই এবার ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের বিনা মূল্যে কনডম দেওয়ার ঘোষণা দিল ফ্রান্স সরকার।
এর আগে ২০১৮ সালে যাঁরা চিকিৎসক বা মিডওয়াইফের পরামর্শপত্র নিয়ে ফার্মেসি থেকে কনডম কিনেছিলেন, তাঁদের সবাইকে ওই কনডম কেনার অর্থ একটি উদ্যোগ নিয়ে ফেরত দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স সরকার।
এক টুইটে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেন, আগের জারি করা স্বাস্থ্য পরিসেবার পাশাপাশি এখন ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের বিনা মূল্যে কনডম দেওয়ার পরিসেবা চলমান থাকবে। এ ছাড়া ফার্মেসি থেকে দেশের সব নারীও বিনা মূল্যে জন্মনিরোধক পাবেন এবং ২৬ বছরের কম বয়সীরা এইডস ব্যতীত কোনো পরামর্শপত্র ছাড়াই যৌন সংসর্গ থেকে সংক্রামিত রোগের বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং করতে পারবেন।