ডলারের দাম নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দাম কম হওয়ায় অনেক রপ্তানিকারক আয় দেশে আনতে বিলম্ব করছেন। আবার অনেকে এখনই রপ্তানি আয় নগদায়ন করতে চাইছেন না। এ জন্য দাম বাড়ানো হয়েছে।
ডলার–সংকট প্রকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এই দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর দুই সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ শুরু করেন।
শুরুতে রপ্তানি আয়ে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯৯ টাকা ও প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা। আর ডলারের পাঁচ দিনের গড় খরচের চেয়ে ১ টাকা বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করতে বলা হয়। পরে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বৈঠক করে নতুন দর নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক যে ডলার বিক্রি করছে, তার দামও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন প্রতি ডলার ৯৯ টাকা দামে বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়নের ঘরে। প্রতিদিন রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ কমছে। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।