আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফয়সল মেহেবুব বলেন, গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৭০ থেকে ৮০ জন তাঁদের ওয়ারীর বাসায় ঢুকে পড়েন। তাঁরা ফয়সলের খোঁজ করেন। এ সময় তাঁর বাসার মালপত্র তছনছ করা হয়। ফয়সলকে না পেয়ে তাঁর চাচা শাহাদত হোসেনকে (স্বপন) ধরে মারতে মারতে নিচে নামান আওয়ামী লীগের লোকেরা। এ সময় ফয়সলের বাবা মিল্লাত হোসেন নিচে নেমে হামলাকারীদের কাছে শাহাদতকে মারধরের কারণ জানতে চান।
তিনি বলেন, শাহাদত যুবদল করেন না। যুবদলের রাজনীতি করেন ফয়সল। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মিল্লাত হোসেনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা শাহাদতকে ধরে পুলিশের ওয়ারী ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে আজ সকালে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মিল্লাত হোসেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন, তাঁকে পেটানো হয়নি। তিনি স্ট্রোক করে নিচে পড়ে গেলে মাথায় আঘাত পান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি কবির হোসেন দাবি করেন, অজ্ঞাতনামা লোকজন ফয়সলকে না পেয়ে তাঁর চাচাকে আটক করে ওয়ারী ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। তারা ওয়ারী পুলিশকে বলে, গতকাল নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদত জড়িত। পরে ওয়ারী ফাঁড়ির পুলিশ শাহাদতকে ওয়ারী থানায় সোপর্দ করে। তবে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদতের জড়িত থাকার সত্যতা না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী নন বলে জানান ওসি। ‘অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা’ কারা, তাদের পরিচয় কী তা বলতে পারেননি ওসি।
ফয়সলের কাছে জানতে চাওয়া হয় থানায় মামলা করেছেন কি না, এর জবাবে তিনি বলেন, ‘থানার লোকতো আওয়ামী লীগের। কোথায় মামলা করব?’
মিল্লাত হোসেনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে। তাঁর দুই ছেলে।