হারুন অর রশীদ বলেন, সমাবেশ আরও তিন দিন পর। তিন দিন আগেই তাঁরা এখানে অবস্থান নিয়েছিলেন। সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে পুলিশের অন্তত ৫০ সদস্য আহত হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও ককটেল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পৌনে দুই লাখ পানির বোতল, প্রায় দুই লাখ নগদ টাকা ও ১৬০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। তাঁরা এসব খাদ্যদ্রব্য এনেছিলেন যাতে নেতা-কর্মীরা এখানেই রান্না করে খেয়েদেয়ে থাকতে পারেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি পাওয়ার পরও নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সমবেত হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন হারুন অর রশীদ।
তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বাইরে থেকে ব্যাগে করে বিস্ফোরক এনে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে রেখেছে। বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সবাই সেখানে ছিলেন, সবাই দেখেছে। তিনি এ রকম অভিযোগ করতেই পারেন।’
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপির কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা তিনটি ককটেল নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।