ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আজ মঙ্গলবার। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে যোগ দিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীরা দলে দলে উদ্যানে আসছেন। এ ছাড়া সারাদেশের জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে আসছেন। সম্মেলন ঘিরে তাদের মাঝে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ।
আজ আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ছাত্রলীগের দপ্তর সেল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সাড়ে ৮০০ আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৫৪টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে ২৫০টি এবং মহানগরে ৩৪০টি আবেদন জমা পড়েছে।
২০১৮ সালে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম রাব্বানী। তবে মাত্র এক বছরের মাথায় অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁদের নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর দায়িত্ব পান বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর যেসব রাস্তা বন্ধ
ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকার রাস্তা বন্ধ রাখার পাশাপাশি রোড ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। যানজট পরিহারের জন্য রাজধানীর কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাবি মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাবির রাজু ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং এলাকায় সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক ডাইভারশন চলবে। এ ক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় চলাচলে নগরবাসীকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।