অথচ এই গ্রিজমান ফ্রান্সের বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ‘আড়ালের আলাদিন’ হয়ে আছেন। বাঁ পায়ের ফরোয়ার্ড স্বকীয় শৈলীতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ফুটবলটাই তাঁর চেরাগ। করিম বেনজেমা, পল পগবা, এনগোলো কান্তের মতো তারকারা চোটে ছিটকে না পড়লে হয়তো আরও অন্তরালে চলে যেতেন। তবে গ্রিজমান এভাবেই থাকতে পছন্দ করেন। শুধু নীরবে–নিভৃতে তাঁর কাজগুলো করে যান, কোচ দিদিয়ের দেশম পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ দেন। সেসব কিছু করে দেখাতে চাইবেন আজও।
রাতে দোহার আল তুমামা স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গ্রিজমানের ফ্রান্সের সামনে রবার্ট লেভানডফস্কির পোল্যান্ড। শক্তি–সামর্থ্যে পোলিশদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ফরাসিরা। তবে চমকে ঠাসা কাতার বিশ্বকাপে কাগজে–কলমের হিসাব সেভাবে কাজে আসছে না। জার্মানি, উরুগুয়ে, বেলজিয়াম, ডেনমার্কের মতো দলগুলোর গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে না–পারা সেটার জ্বলন্ত প্রমাণ।
তা ছাড়া গত বছর ইউরোয় এই শেষ ষোলো পর্বেই সুইজারল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স। এবার তাই প্রতিপক্ষ নিয়ে বাড়তি সতর্ক গ্রিজমান। সংবাদ সম্মেলনে ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩–১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা ওদের হালকাভাবে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমরা জিততে চলেছি। এখন বুঝতে পারছি বড় প্রতিযোগিতায় সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই।’
গ্রিজমান তো বুঝেছেন। দলের বাকিরা বুঝতে পারলেই হয়।