‘দৃশ্যম টু’ ছবির এ সাফল্য প্রসঙ্গে ঈশিতা বলেছেন, ‘যখন জানতে পারি “দৃশ্যম টু” নির্মাণ করা হবে, তখন থেকেই নার্ভাস হয়ে পড়ি। সাত বছর পর ছবিটিকে ঘিরে মানুষের কেমন প্রতিক্রিয়া হবে, এ নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম। এক বছর ধরে আমরা এই ছবিটি নিয়ে কাজ করে চলেছি। অবশেষে ছবিটি পর্দায় এসেছে। দৃশ্যম টু ঘিরে মানুষের একই রকম উত্তেজনা দেখে খুবই ভালো লাগছে। ‘দৃশ্যম’-এর মতো বড় সিনেমার অংশ হতে পেরে দারুণ লাগছে।’
ছবিটিতে দেখানো হয়েছে একজন মানুষ তার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারেন। এ প্রসঙ্গে ঈশিতা বলেছেন, ‘শুধু পরিবার নয়, আমার কাছের বন্ধুদের জন্য আমার এই রকম অনুভূতি। আমার জন্য আমার পরিবার আর বন্ধুরা সবকিছু। আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্ব আমার কাছে অনেক। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারের জন্য পরিবারকে কখনোই প্রভাবিত করতে পারব না। কারণ, কাজ আমার জীবনের অংশ মাত্র, আমার জীবন নয়।’
ঈশিতা সুন্দরী, অভিনয়টা বেশ ভালোই পারেন; তবু ছবিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যায় না। এমনকি ‘দৃশ্যম’ ও তাঁর ভাগ্যের চাকা সেভাবে ঘোরাতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথমে আমাকে দৃশ্যম করতে অনেকে নিষেধ করেছিলেন। কারণ, ছবিটিতে আমি তথাকথিত নায়িকা নই। কিন্তু অজয়, টাবুর মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। আর চরিত্রটাও ছিল অন্য রকম। কিন্তু ‘দৃশ্যম’ ছবির পর থেকে আমার কাছে একই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব বেশি এসেছিল। ওটিটি থেকেও বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছিল। করিনি, কারণ বিষয়বস্তু আমার জন্য সাহসী ছিল। সাহসী দৃশ্যে আমি মোটেও স্বচ্ছন্দ নই।’
তবে সুযোগ হাতছাড়া হওয়া নিয়ে তাঁর আক্ষেপ নেই। এ প্রসঙ্গে ঈশিতা বলেন, ‘আমার মনে হয় অনেক সময় কিছু কিছু বিষয় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। এটাও মনে হয় যে আমি হয়তোবা কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, না হলে আমার ক্যারিয়ারটা আজ অন্য আকার নিত। শেষ পর্যন্ত মনে হয় যে ভাগ্যে যা লেখা থাকে, তা-ই হয়। তবে আমি যে কাজটাই করি না কেন, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। এখন পর্যন্ত যা যা করতে পেরেছি, তাতেই খুশি থাকার চেষ্টা করি।’