যে দলে রবার্ট লেভানডফস্কির মতো স্ট্রাইকার আছে, সে দলে একজন গোলকিপারের ভরসা হয়ে ওঠার কারণ গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স। ‘সি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা পোল্যান্ড প্রথম পর্বের তিন ম্যাচে মাত্র ২টি গোল করতে পেরেছে। লেভানডফস্কিদের মতো ৪ পয়েন্ট ছিল মেক্সিকোর, তাদেরও গোল ছিল ২টি। কিন্তু পোল্যান্ড এগিয়ে যায় গোল ব্যবধানে। আর সেই ব্যবধান গড়ে দেন সেজনিই।
সৌদি আরবের বিপক্ষে সালেম আল–দাউসারি আর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মেসিকে পেনাল্টি থেকে গোলবঞ্চিত করেন। এর একটিও যদি গোল হয়ে যেত, পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে পড়ত পোল্যান্ড।
১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা পোল্যান্ডের সামনে এবার গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। যে দলটি ‘ডি’ গ্রুপ থেকে উঠে আসার পথে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ৬ গোল।
এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের বিপক্ষে গোল করা কিলিয়ান এমবাপ্পেই হতে পারেন সেজনির প্রধান হুমকি। তবে জুভেন্টাসে খেলা এই গোলকিপার মেসিকে রুখে দেওয়ার সাফল্যে এখন দারুণ উজ্জীবিত। ফ্রান্স ম্যাচ নিয়ে বলতে গিয়ে মজার ছলে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন এমবাপ্পের দিকে, ‘ওরা বড় ফেবারিট। বিশ্বসেরা দলগুলোর একটি। আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করে যাব। আর এমবাপ্পেকে থামানোর উপায়? আমিই তো, নাকি!’
দ্বিতীয় রাউন্ড দিয়েই বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের শুরু। ৯০ মিনিটে সমতা থাকলে আরও ৩০ মিনিট, এরপরও সমতা থাকলে টাইব্রেকার। দুই দলের মূল অস্ত্র যেখানে গোলকিপার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২৬ নম্বরে থাকা পোল্যান্ডেরও লক্ষ্য থাকবে গোল করতে না পারলে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত টেনে নেওয়া।
বিশ্বকাপ বা ইউরোর মঞ্চে টাইব্রেকার সামাল না দিলেও পেনাল্টি সেভে সেজনি রীতিমতো ‘বিশেষজ্ঞ’ পর্যায়ের। ক্লাব ফুটবলের সর্বশেষ মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে টানা তিনটি পেনাল্টি রুখে দেওয়ার কীর্তি আছে তাঁর। গত আড়াই বছরে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট পেনাল্টি সেভ নয়টি।
আক্রমণমুখী ফ্রান্সকে থামাতে সেজনি ছাড়া পোল্যান্ডের ভরসা কী!