ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি, ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ভারী যান বন্ধের দাবি

0
264
নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় সাবেক শিক্ষকের গাড়িচাপায় এক নারীর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ভারী যান চলাচল বন্ধের দাবি জানান তারা। আজ শনিবার দুপুরের দিকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক আজহার জাফর শাহর ব্যক্তিগত গাড়ির নিচে পড়ে আটকে যান রুবিনা আক্তার নামের এক নারী। পথচারীদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও আজহার জাফর শাহ ওই অবস্থাতেই গাড়িটি নিয়ে ছুটতে থাকেন। প্রচণ্ড চাপ ও আঘাতে পিষ্ট হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়। আজহার জাফর শাহকে গাড়িসহ আটকে উত্তেজিত জনতা মারধর করে, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল গভীর রাতে নিহত রুবিনা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে আজহার জাফর শাহকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাম্পাসে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিদের একটি অংশ গতকাল রাতে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের (শিমুল-আদনান) আজ উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

আজ দুপুরে নিরাপদ ক্যাম্পাস চেয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র রিফাত শাওন। তিনি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।

রিফাত অবস্থান কর্মসূচিতে বলেন, ‘একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এত উচ্চগতিতে চলছে, সেই গাড়ির বাম্পারে একজন নারী আটকে আছেন এবং পরে তাঁর মৃত্যু হলো- আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। ক্যাম্পাসের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের কারণে আমরা শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে ক্যাম্পাসটা পার্কের মতো হয়ে যায়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে পারে না। ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.