শেষ বাঁশি পড়ার অপেক্ষা। বিদায় লেখা হয়ে গেছে এশিয়ার প্রতিনিধি দক্ষিণ কোরিয়ার নামের পাশে। এমন সময় গোল! হাউয়ান হ্যা চানের গোলটা যেন এক ঢিলে দুই পাখি। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারের স্বাদ দিলেন তিনি। উরুগুয়েকে বিদায় করে দিলেন আসর থেকে। রূপকথার গল্পের মতো কামব্যাকে দলকে শেষ ষোলোয় জায়গা এনে দিলেন।
ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেনি ঘানা। এবারও কাটেনি তাদের পেনাল্টি জুজু। ২০১০ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে এই উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ সময়ে পেনাল্টি মিস করে আসর শেষ হয়েছিল ঘানার। এবার প্রতিশোধের সুযোগ পেয়েও হারায় আফ্রিকার দলটি। ওই সুযোগে প্রথমার্ধে জোড়া গোল করে নকআউটের পথে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার শেষের গোলে হৃদয় ভেঙেছে তাদের।
অথচ ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া পর্তুগালের রিকার্ডো হোর্তা ম্যাচের ৫ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। ওই গোল প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে শোধ করে এশিয়ার আশা কোরিয়া রিপাবলিক। একটি গোলের জন্য মরিয়া হয়েও তারা কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছিল না। এরপর যোগ করা সময়ে চ্যান করেন ওই ’গোল্ডেন গোল’।
ওদিকে উরুগুয়ের গোলরক্ষক পেনাল্টি ফেরানোর পর ম্যাচের ২৭ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ডি আরাসকাইটা। ৩২ মিনিটে তিনি দ্বিতীয় গোল করে দলকে নকআউটের কাছে নিয়ে যান। ওই গোলেই জয় পায় উরুগুয়ে। তিন ম্যাচে তাদের একটি জয়, এক ড্র ও পরাজয় একটিকে। দক্ষিণ কোরিয়ারও এক জয়, এক ড্র ও এক হারে সমান পয়েন্ট তুলেছে।
কিন্তু গোল ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেছে নকআউটে। সেই গোল ব্যবধানও এক হিসেবে সমান সমান। দক্ষিণ কোরিয়া চার গোল করে আবার চার গোল খেয়েছে। আবার উরুগুয়ে দুই গোল করে খেয়েছে দুই গোল। সেই হিসেবে গোল ব্যবধানও শূন্য। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া বেশি গোল করায় তারা চলে গেছে নকআউট পর্বে। সব ঠিক থাকলে শেষ ষোলোয় তারা মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের।