স্পেনকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় দুর্দান্ত জাপান

জাপান ২: ১ স্পেন

0
232
স্পেনের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়ে জাপানের উল্লাস, ছবি: রয়টার্স

এগিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রাখে স্পেন। জাপান বলের দখল নিলেও স্পেনের কাউন্টার প্রেসিংয়ে বল বেশি সময় কাছে রাখতে পারছিল না তারা। এশিয়ান দলটি অবশ্য পিছিয়ে পড়েও ডিফেন্স ছেড়ে আসার সাহস দেখাতে পারছিল না।

প্রতি আক্রমণে হুটহাট উইং ধরে ওঠার চেষ্টা করলেও সেসব প্রচেষ্টা অ্যাটাকিং থার্ডে পৌঁছানোর অনেক আগেই থামিয়ে দিচ্ছিল স্প্যানিশ ডিফেন্ডাররা। ২২ মিনিটে স্পেনের আরেকটি আক্রমণ জাপানকে হুমকিতে ফেললেও তাতে ফল মেলেনি।

স্পেনের দুর্দান্ত পজিশনিং এবং মাঝ মাঠে পাসের পশরায় রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠছিল জাপানের। বলের খোঁজে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন শুধু। যদিও তাতে লাভ কিছুই হচ্ছিল না।

এরপর অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে জাপান। দারুণ একটি আক্রমণও তৈরি করেছিল। তবে স্প্যানিশ ডিফেন্সে গিয়ে ব্যর্থ হয় সেই প্রচেষ্টা। তবে প্রথমার্ধে জাপানের প্রচেষ্টা বলতে এটুকুই, যেখানে একটি অফ টার্গেট শট ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এরপর আবারও সেই স্প্যানিশ দাপটের গল্প। হতাশা নিয়েই বিরতিতে যায় জাপান।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্পেন থিতু হওয়ার চমকে দেয় জাপান। কৌশল বদলে স্পেনকে পাল্টা চাপে ফেলার চেষ্টা করে তারা। যার ফল আসে ৪৮ মিনিটে। স্প্যানিশ ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নেন রিতসু দোয়ান। বলে হাত লাগিয়েও সেটিকে বাইরে পাঠাতে পারেননি উনাই সিমন। বলের গতি পরাস্ত হন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

তবে নাটক জমে ওঠে ম্যাচের ৫১ মিনিটে। দারুণ এক আক্রমণে স্প্যানিশ ডিফেন্সে ঢুকে বল পাস দেন দোয়ান। সেই বল কাট ব্যাক করে আও তানাকার কাছে পাঠান কারোরু মিতোমা। নিঁখুত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তানাকা। তবে মিতোমা বল কাটব্যাক করার আগে বল গোল লাইন পেরিয়েছে কিনা এমন সন্দেহ হওয়ায় ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জাপানের পক্ষে যায় এবং ম্যাচে লিড নেয় জাপান।

পরপর দুই গোল হজম করে চাপে পড়ে যায় স্পেন। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও হারায় তারা। এ সময় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে স্প্যানিশ ডিফেন্সের পরীক্ষা নিতে শুরু করে এশিয়ান দলটি। ফল বদলাতে একাধিক পরিবর্তন আনেন লুইস এনরিকে। তবে কাজের কাজটা হচ্ছিল না কিছুতেই। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্পেন। অন্য দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তবে তারাও আর গোল পায়নি। যদিও তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। জাপান পেয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.