পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি মামলায় ৩৭ জন কৃষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ বলেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কাছ থেকে ওই কৃষকেরা ঋণ নিয়েছিলেন। অবশ্য ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
পাবনা জেলা কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অনেকে খেলাপি হয়ে আছেন।
তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় না। তাঁরা গ্রেপ্তার হন না। কিন্তু মাত্র কয়েক হাজার টাকা ঋণের জন্য কৃষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার জানামতে, ঋণের টাকা তাঁরা বহু আগেই পরিশোধ করেছেন। সেই রসিদও তাঁদের কাছে আছে। এরপরও অকারণে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানাই।’
তারানা হালিম বেলা একটার দিকে নিজের ফেসবুকে কৃষকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত তাঁর পোস্টে মন্তব্য পড়েছে ৭৯৬টি। ১০ হাজার মতো প্রতিক্রিয়া এসেছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৪৪৪ বার। মন্তব্যকারীদের প্রায় সবই তারানা হালিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তারানা হালিম বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে পীড়া দিয়েছে। মানুষ ২৫ হাজার টাকার জন্য জেলে যাচ্ছেন, আর হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপিরা বহাল তবিয়তে আছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। কিছু মানুষ বাঁচার লড়াই করছেন আর কিছু মানুষ বিলাসিতার লড়াই করছেন। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।’
কারাগারে পাঠানো কৃষকদের পক্ষে কৃষক লীগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক ভূমিকা আশা করেন বলে জানান তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি কৃষক লীগ না হলে কৃষি মন্ত্রণালয় দেখবে, সমাধান করবে, এই দায়টা গ্রহণ করবে—এটা আমার অনুরোধ ও আশা।’