গ্রুপ পর্বে বিদায়ের একটা জুজু, একটা অভিশাপ চ্যাম্পিয়নদের তাড়া করে বেড়ায়। ওই জুজুতেই কিনা ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স। এরপর কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভার জিরুরা তাদের জাত চিনিয়েছেন। দুর্দান্ত খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।
মঙ্গলবার রাতে আল জানউব স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই চমক দেয় অস্ট্রেলিয়া। সকারুরা ম্যাচের ৯ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে। জোরের ওপর লম্বা করে বাড়ানো বল ধরেন লেস্ককি। লুকাস হার্নান্দেজকে কাটিয়ে ঢুকে পড়েন বিপদজনক পজিশনে। ফাঁকায় থাকা গুডউইনকে দারুণ পাস দিয়ে গোল করান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার ওই গোলের সঙ্গেই দ্বিতীয় ধাক্কাটি খায় ফ্রান্স। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন বায়ার্ন মিউনিখে খেলা লেফট ব্যাক লুকাস হার্নান্দেজ। তার বদলি নামেন ভাই থিও হার্নান্দেজ। তিনিই গোল শোধের কারিগর হন। ম্যাচের ২৭ মিনিটে বাঁ-পায়ের এই ডিফেন্ডারের ক্রসে দারুণ এক হেড দিয়ে লেস ব্লুজদের সমতায় ফেরান আন্দ্রে রাবিওট।
অস্ট্রেলিয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোমেন্টাম পাওয়া ফ্রান্স দ্বিতীয় গোল করে লিড নেয়। ম্যাচের ৩২ মিনিটে গোল করেন অলিভার জিরু। ফাঁকায় থাকা ফ্রান্স স্ট্রাইকারকে বলের যোগান দেন মিডফিল্ডার রাবিওট। ওই গোলের সঙ্গে অজিদের ভুলও জড়িত।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপুটে শুরু করে ফ্রান্স। বর্তমান বিশ্ব সেরা ফুটবলার করিম বেনজেমা ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন। ক্রিস্টোফার এনকুনকুর বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ফ্রান্স তাদের খেলায় তার প্রভাব পড়তে দেয়নি। বরং জয়টা যেন তারা মাথা দিয়ে খেলেই তুলে নিয়েছে।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রাবিওটের মতো তিনিও হেড থেকে গোল করেন। তাকে দিয়ে গোল করান রাইট উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলে। এরপর ৭১ মিনিটে জিরু দলকে ৪-১ গোলে এগিয়ে নেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কোন গোল না করা স্ট্রাইকার এবার শুরুর ম্যাচেই করলেন জোড়া গোল। তার দ্বিতীয় গোলটি এসেছে এমবাপ্পের দারুণ ক্রসে দুর্দান্ত হেড থেকে।