ইয়াবা গডফাদাররা আত্মগোপনে

0
191
আবদুল শুক্কুর,আবদুল আমিন,মো. ফয়সাল,শফিকুল ইসলাম

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম  বলেন, আলোচিত মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলায় ১০১ আসামির যাবজ্জীবন থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে জেনেই ৮৪ আসামি আত্মগোপনে গেছেন।

২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণের পর টানা দেড় বছর ওই ১০১ আসামি কারাগারে ছিলেন। এরপর জামিনে মুক্ত থেকে ১৫ নভেম্বরের আগপর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন তাঁরা।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আত্মসমর্পণের দিন ভোরে টেকনাফের একটি হ্যাচারিতে জড়ো হয়ে ইয়াবা পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কারবারিরা। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে পালাতে না পেরে তাঁরা ইয়াবা ও অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওই দিন সকাল ১০টায় টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের উপস্থিতিতে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি ও পৃষ্ঠপোষক ৩০টি বন্দুক, ৭০টি গুলি ও সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মো. রাসেল নামে এক আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ১০১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ গঠন করেন।

গত রোববার টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে ৮৪ ইয়াবা গডফাদারের কাউকে পাওয়া যায়নি। টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানকেও (আসামি)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ইউপি সদস্য বলেন, ১৫ নভেম্বর বিকেল থেকে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে গেছেন। একই দিন টেকনাফ থেকে আত্মগোপন করেন বদির চার ভাইসহ ৮৪ আসামি।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সব কটি তালিকায় মাদক কারবারের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে আবদুর রহমান বদি ও ইয়াবা গডফাদার হিসাবে তাঁর পাঁচ ভাই, এক বোনসহ ২৬ নিকটাত্মীয়ের নাম রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আত্মগোপনে থাকা দুজন আসামি বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে, এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছিল। এখন মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম।

এসব মাদক কারবারির কারণেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে উল্লেখ করে কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, তাঁদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া ঠিক হবে না।

আব্দুল কুদ্দুস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.