জেলিফিশের পর কক্সবাজার সৈকতে এবার ভেসে এল বিপুল পরিমাণ চাপিলা, পোপা, ছুরি মাছ

0
291
কক্সবাজার সৈকতের অন্তত দুই কিলোমিটার বালুচরে ভরপুর ছিল ছোট আকৃতির ভেসে আসা মাছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে

সৈকত থেকে বিনা মূল্যে মাছ সংগ্রহ করতে পেরে খুশি স্থানীয় লোকজন। শহরের সমিতির পাড়ার দিনমজুর সালেহ আহমদ (৫৫) বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তিনি ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট–সংলগ্ন সৈকতে নেমে দেখেন, সৈকতের বালুচর মাছে ভরপুর। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মাছগুলো কুড়িয়ে স্তূপ করছেন। কাছে গিয়ে দেখেন, মাছগুলো তখনো তাজা। বেশির ভাগ মাছ চামিলা (চাপিলা)। আছে পোপা, ছুরি, ফাইস্যা মাছও। এসব মাছ বাজারে প্রতি কেজি ১৫০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। আবার শুঁটকি হিসেবে প্রতি কেজি ৩৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

কয়েক শ নারী–পুরুষ সৈকতে ভেসে আসা মাছ সংগ্রহ করেন

কয়েক শ নারী–পুরুষ সৈকতে ভেসে আসা মাছ সংগ্রহ করেন

সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের সমিতিপাড়া, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, শৈবাল ও লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত অন্তত দুই কিলোমিটার বালুচরে ভরপুর ছিল ছোট আকৃতির ভেসে আসা মাছে। দুপুর পর্যন্ত কয়েক শ নারী–পুরুষ বালুচর থেকে অন্তত ১৫০ মণ মাছ সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, সৈকতে মাছ ভেসে আসার খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং মাছ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান করেন। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মাছবোঝাই কোনো ট্রলার উল্টে গেলে মাছগুলো জোয়ারের পানিতে এ সৈকতে ভেসে আসতে পারে। মাছের মধ্যে চাপিলা, পোয়া, ছুরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ রয়েছে। তবে অন্য কোনো বিপর্যয়ে মাছের মৃত্যু হয়েছে, এমন মনে হচ্ছে না। তবু মাছের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম এ মনজুর বলেন, কয়েক দিন আগেও সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ভেসে এসেছিল কয়েক শ মরা জেলিফিশ। এখনো বহু জেলিফিশ সৈকতের বালুচরে পড়ে আছে। সাগরে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটল কি না, গবেষণা দরকার।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঢেউয়ের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ছোট মরা মাছ সৈকতে ভেসে এসেছে। পানিতে অনেক মরা মাছ ভাসছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.