ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য তার দেশকে কখন আমন্ত্রণ জানানো হবে- সে বিষয়ে কোনরকম দিন তারিখ নির্ধারণ না করাটা ‘অযৌক্তিক’ বিলম্ব।
এক টুইটে জেলেনস্কি কড়া ভাষায় বলেন,’কার্যত মনে হচ্ছে ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানো বা সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে কোন প্রস্তুতিই নেই।’
ন্যাটো ২০০৮ সালে বুখারেস্টের শীর্ষ বৈঠকে ইউক্রেনকে জোটের সদস্যপদ দেবার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু কখন ও কীভাবে সেটা হবে সে বিষয়ে ন্যাটো কিছুই বলেনি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখন ভিলনিয়াসে সম্মেলন শুরুর আগে আমরা এমন ইঙ্গিত পাচ্ছি যে ইউক্রেনের উপস্থিতি ছাড়াই তারা এ ব্যাপারে কিছু বয়ান নিয়ে আলোচনা করছে।’
তিনি আরও বলেন,’এই বয়ান ন্যাটোর সদস্য হবার আমন্ত্রণ নিয়ে, ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে নয়। অনিশ্চয়তা একটা দুর্বলতার লক্ষণ। এবং শীর্ষ বৈঠকে আমি এবিষয়ে খোলাখুলি কথা বলব।’
তবে জেলেনস্কি এটাও জানেন যে, যুদ্ধ চলাকালীন ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাতে পারে না। কারণ সেটা করলে ন্যাটো জোট রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকিতে জড়িয়ে পড়বে। যেহেতু ন্যাটো সনদের আর্টিকেল ফাইভে বিধান দেয়া আছে যে জোটের কোন সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে সেই দেশকে প্রতিরক্ষা দিতে সব সদস্য দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।
লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে গুরুত্বপূর্ণ এক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন ন্যাটো সামরিক জোটের নেতৃবৃন্দ। ধারণা করা হচ্ছে এই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি এবং পশ্চিমা এই জোটের ভবিষ্যত রূপরেখা নির্ধারিত হতে পারে।