আদেশদাতা ও বাস্তবায়নকারী উভয়ের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে: ডোনাল্ড লু

0
85
ডোনাল্ড লু

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আদেশদাতা এবং আদেশ বাস্তবায়নকারী উভয়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের টক শো তৃতীয় মাত্রায় বুধবার রাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেন, যারা আদেশ দেবেন এবং যারা সে আদেশ অনুযায়ী কাজ করবেন উভয়ের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। যারা আদেশ মেনে সহিংসতা বা ভোটারদের ভয় দেখাবেন বা ভোট কারচুপি করবেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। একই সঙ্গে যারা আদেশ দেবেন, তারাও ভিসা পাবেন না।

বাংলাদেশের নির্বাচনে অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয়।

নতুন ভিসানীতি সম্পর্কে ডোনাল্ড লু বলেন, আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারও বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিইনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ব্লিঙ্কেন) একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছেন। এর আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত করার সঙ্গে যারা দায়ী বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসায় বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে। তিনি হতে পারেন সরকার, বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা বিরোধী দলের সদস্য।

তিনি আরও বলেন, এই নীতি সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে। যেমন- যদি আমরা দেখতে পাই বিরোধী দলের কোনো সদস্য নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সহিংসতায় জড়িত ছিলেন বা ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনে জড়িত ছিলেন, তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না। একইভাবে সরকারের কোনো সদস্য বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতা বা বাক্‌স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করায় জড়িত থাকলে তিনিও মার্কিন ভিসা পাবেন না।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন ভিসানীতি ও এ সংক্রান্ত আইন খুবই স্পষ্ট। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য, অর্থাৎ, স্বামী-স্ত্রী-সন্তানরাও এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন।

ডোনাল্ড লু বলেন, এই নীতি নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক উপায়ে প্রয়োগ করা হবে। এটি বিরোধী দল ও সরকার উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনও নির্বাচনে পক্ষ নেয় না। আমরা কোনো নির্দিষ্ট দল বা বিশেষ প্রার্থীকে সমর্থন করি না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.