৭ বছর পর পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন খালেদা জিয়ার

0
19
পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ঈদ উদযাপন করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

দীর্ঘ সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ঈদ উদযাপন করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় তার পাশে থাকছেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি, তিন নাতনি জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান। সর্বশেষ, ২০১৭ সালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেন খালেদা জিয়া।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির পাঠানো রাজকীয় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়ে হাসপাতাল থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।

এদিকে, দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

রোববার (৩০ মার্চ) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছার তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ম্যাডাম দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এ সময় লন্ডনে খালেদা জিয়ার তৃতীয়বারের মতো ঈদ উদযাপনের তথ্য জানিয়ে এ জেড এম জাহিদ আরও বলেন, লন্ডনে ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। আপনারা জানেন, ম্যাডাম উনার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন। ঈদের দিনটি উনি বাসায় আপনজনদের নিয়ে একান্তে কাটাচ্ছেন।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, দ্য লন্ডন ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের অধীনে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল দলের সদস্যরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। শারীরিকভাবে এখন খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ। তিনি মানসিকভাবেও চাঙ্গা।

এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ঈদের পর তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি এপ্রিলের যে কোনো দিন দেশে ফিরতে পারেন। বিষয়টি মেডিকেল বোর্ডের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.