লক্ষ্মী রানী দাসের বয়স ৭৫ বছর। একা হাঁটাচলা করতে পারেন না। রিকশায় করে তাঁকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসেন ছেলে উজ্জ্বল কুমার দাস। রিকশা থেকে নামার পর তাঁকে ভোটকক্ষে নিয়ে যেতে হয় কোলে করে।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে খুলনা শহরের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন লক্ষ্মী রানী দাস। তাঁদের বাসা শহরের গগণবাবু সড়কে। তিনি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার।
লক্ষ্মী রানী বলেন, যতবার ভোট হয়েছে, ততবারই তিনি ভোট দিয়েছেন। সত্তরের নির্বাচনে তিনি প্রথম ভোট দিয়েছিলেন। ভোট দিতে তাঁর ভালো লাগে। এ জন্য ভোট দিতে আসেন তিনি।
লক্ষ্মী রানী ভোট দিলেও তাঁকে প্রথমে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাঁর আঙুলের ছাপ মেলেনি। প্রায় ১০ মিনিট চেষ্টার পরও সেটি মেলেনি। পরে বৈধ ভোটার হিসেবে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনুমতি দেওয়ার পর তিনি ভোট দেন।
লক্ষ্মী রানীর ছেলে উজ্জ্বল দাস বলেন, তাঁর বাবা মারা গেছেন ৩৭ বছর আগে। মা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে আয়ার কাজ করে পাঁচ সন্তানকে মানুষ করেছেন। তাঁর মা একজন সচেতন নাগরিক। তিনি কখনো ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেননি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। মায়ের আবদার রক্ষা করতেই তাঁকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন।
খুলনা ও বরিশাল সিটির ভোট শুরু
মাকে ভোট দিতে সহায়তা করেছেন উল্লেখ করে উজ্জ্বল বলেন, মা একা ভোট দিতে পারেন না। তাঁর হাত সব সময় কাঁপতে থাকে। ইভিএম মেশিন চাপাও তাঁর জন্য কষ্টকর। এ জন্য তিনি মাকে ভোট দিতে সহায়তা করেছেন।
পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৫। সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রথম এক ঘণ্টায় কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে ৪৯টি।