স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি এক জেলার পরিবর্তে ছয় জেলায় বিস্তৃত করা হয়েছে। এতে সরকারি খরচে ছয় জেলার ১৫ লাখ পরিবার বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয়াদি’ সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এ সেবা পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের আওতায় এটি করা হচ্ছে।
নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম (যাচাই কর্মসূচি) হাতে নিয়েছি। সব উপজেলায় এই প্রোগ্রামটি রয়েছে। এটিকে ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিবি নামের একটি টিকাও রয়েছে। জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের আগামী সেপ্টেম্বর মাস থকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন অনুযায়ী যে টিকা দেওয়া হয় এটাও সেভাবে দেওয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের দিলে সেটি কার্যকর হবে। এটি খুবই দামি টিকা হলেও বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকা একটি করে দেওয়া হবে। টিকা একবার নিলে তারা আজীবন এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়।
তিনি বলেন, ব্রেস্ট ক্যান্সারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। সেটি যাতে দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি হয় জেলায় বিস্তৃত করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাহিদ জানান, এতে ১৫ লাখ পরিবার বছরে ৫০ হাজার টাকা পরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাবে। মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম,ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এ সেবা পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেনের আওতায় এটি করা হচ্ছে।
নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিপাহ ভাইরাস এখন নিয়ন্ত্রণে। আছে। এখানে নতুন কোনো রোগী আমরা সেভাবে পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেন, প্রস্তুতি হিসেবে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে একটা ইউনিট করে দেওয়া হয়েছে। আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে নিপাহ বা এ ধরনের কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যাতে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। যাতে সংক্রমণটা না ছড়ায়, সে জন্য আমরা এ সুন্দর ইউনিটটি করেছিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মনিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।