নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। আহমেদাবাদের এই স্টেডিয়ামে ভারতীয় দল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর। যে ম্যাচের দিকে গোটা ভারত তাকিয়ে ছিল বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে রোহিত শর্মাদের হারে ভারতীয়দের জন্য রাতটি হয়ে উঠেছিল যন্ত্রণাময়। বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রায় দেড় বছর পর আজ সেই মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল ভারত।
এবার চিত্র সম্পূর্ণই ভিন্ন। শুবমান গিলের সেঞ্চুরিতে ভারতের স্কোরবোর্ডে উঠল ৩৫৬। যে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেল ২১৪ রানে। ভারত ১৪২ রানে শুধু ম্যাচই জেতেনি, তিন ম্যাচের সিরিজও জিতল ৩-০ ব্যবধানে। ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের আনন্দ নিয়েই আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। যেখানে প্রথম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
আজ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বল হাতে অবদান রেখেছেন ভারতের অনেকেই। ৬ জন বোলিং করেছেন, চারজন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট, বাকি দুজন একটি করে। অর্থ্যাৎ, বোলিংয়ে অবদান আছে সবারই। তবে ব্যাটিংয়ে একজনকে আলাদা করতেই হবে।
![আগের দুই ম্যাচে ফিফটির পর এবার সেঞ্চুরি করেছেন শুবমান গিল।](https://media.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2025-02-12%2Fz18iixh8%2F778295-01-02.jpg?w=640&auto=format%2Ccompress&fmt=avif)
ক্যারিয়ারের ৫০তম ওয়ানডে খেলতে নামা গিল একাই করেছেন ১১২ রান। ১০২ বল খেলা ইনিংসটিতে ছিল ১৪ চার ও ৩ ছক্কা। ডানহাতি এ ওপেনার সেঞ্চুরির পথে দ্রুততম আড়াই হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। হাশিম আমলার ২৪৮৬ রান ছাড়িয়ে প্রথম পঞ্চাশ ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ২৫৮৭ রানের রেকর্ড এখন গিলের।
গিলের পর ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে ৫২ আর লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। ৫০তম ওভারের শেষ বলে ভারতকে অলআউট করতে পারা ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৪ রানে ৪ উইকেট নেন আদিল রশিদ।
রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট ৬ ওভারেই তুলে ফেলেন ৬০ রান। কিন্তু আর্শদীপ সিং সপ্তম ওভারে ডাকেট আর নবম ওভারে সল্টকে তুলে নিয়ে পথ হারাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। যেখান থেকে জস বাটলারের দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে তিনে নামা টম ব্যান্টন ও আটে নামা গাস অ্যাটকিনসনের ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৫৬ (গিল ১১২, আইয়ার ৭৮, কোহলি ৫২; রশিদ ৪/৬৪)। ইংল্যান্ড: ৩৪.২ ওভারে ২১৪ (ব্যান্টন ৩৮, অ্যাটকিনসন ৩৮; অক্ষর ২/২২, হর্ষিত ২/৩১)। ফল: ভারত ১৪২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শুবমান গিল। সিরিজ: ভারত ৩–০ ব্যবধানে জয়ী। ম্যান অব দ্য সিরিজ: শুবমান গিল।