ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম। চারটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোট শুরুর পর প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২ শতাংশেরও কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
ঢাকা-১৭ আসনের ভাষানটেক এলাকার সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ। এই কলেজে মোট চারটি কেন্দ্র। দুটি নারী কেন্দ্র ও দুটি পুরুষ কেন্দ্র। ভোটকক্ষ ১৪টি। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটার ৭ হাজার ৪১৮।
আজ সোমবার সকাল আটটায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শুরুর পর প্রথম এক ঘণ্টা পর এই ৪ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১০১টি। ভোট পড়ার হার ১ দশমিক ৩৬।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অলস বসে আছেন। কেন্দ্রে ভোটার নেই। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও হতাশা প্রকাশ করেন।
একটি নারী কেন্দ্রের এক নম্বর কক্ষে প্রথম ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১টি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম। নারী কেন্দ্র হওয়ায় দুপুরে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। প্রথম ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১১টি। এক কেন্দ্রে ভোটার আছেন ১ হাজার ৮৬৯ জন।
ভাষানটেক এলাকায় বেশ কিছু বস্তি রয়েছে। সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের কেন্দ্রগুলোয় বস্তির নিম্ন আয়ের ভোটার বেশি। তাঁদের বেশির ভাগই কর্মজীবী। কাজে বের হয়ে যাওয়ায় তাঁদের উপস্থিতি কম; বিশেষ করে নারী ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।
সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের পুরুষ কেন্দ্র দুটির একটিতে ভোটার ১ হাজার ৮১৮ ও আরেকটিতে ১ হাজার ৮৩০। এ দুই কেন্দ্রে প্রথম ঘণ্টায় ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৪০ ও ৩৫টি। একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ২০টি ভোট পড়েছে।
একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেকেন্দার আজম বলেন, এত কম উপস্থিতি হবে, ধারণা ছিল না৷ প্রথম ঘণ্টায় ২০টির কম ভোট পড়েছে। কর্মজীবী লোকজন কাজে চলে গেছেন। কোনো ফাঁকে এসে হয়তো ভোট দেবেন।
এই উপনির্বাচনে ভোট হচ্ছে কাগজের ব্যালটে। তাই যাঁরা ভোট দিতে আসছেন, তাঁদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ভোটারদের।
এবার ব্যালটে ভোট দিয়ে খুশি ভোটার মো. মুসলিম। তিনি বলেন, ‘অল্প শিক্ষিত ও নারী ভোটারদের জন্য ব্যালটে ভোট দেওয়া তুলনামূলক সহজ। আমরা ব্যালটে ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছি।’
ঢাকা-১৭ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী।
বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই। ফলে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহও কম। ভোট শুরুর পর থেকে ভোটার না থাকায় এই অনাগ্রহ আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আশাবাদী, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা হলেও বাড়বে।