চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৪৩ খাতে রফতানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা আগের মতোই বহাল রেখেছে সরকার। জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে রফতানি প্রণোদনা এবং নগদ সহায়তার হার পণ্যভেদে দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পর এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিন কারণে রফতানি খাতে আর্থিক প্রণোদনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সময়সীমা আরো ছয় মাস পিছিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী জুলাই থেকে এটি কার্যকর করার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে ডিসেম্বর মাস নির্ধারণ করা হয়েছে।
যে কারণে এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অধিক হারে শুল্কারোপ, স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রফতানিতে ভারতের বিধিনিষেধ এবং গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শিল্প খাতে অস্থিরতা।
বিগত সাত অর্থবছরে পণ্য রফতানি খাতে প্রণোদনা দেয়ার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। এই আর্থিক প্রণোদনার সিংহভাগ (৮০ ভাগের বেশি) পেয়েছে রফতানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প।
উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে যেসব পণ্য রফতানি করা হবে, সেগুলোর বিপরীতে এই নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে।