আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে গুজরাট টাইটানসের। লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসেরও। গন্তব্য ঠিক হয়ে যাওয়া দুই দলের লড়াইয়ে ঝাঁঝ না থাকারই কথা। তবে অনেকটা গুরুত্বহীন হয়ে ওঠা এই ম্যাচেই লক্ষ্ণৌ, গুজরাট ছোটাল রানের ফোয়ারা। দুই দলই তুলল দুই শর বেশি রান।
দিন শেষে হেসেছে অবশ্য লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসই। ২৩৫ রানের পুঁজি থাকা দলটি গুজরাটকে আটকে দিয়েছে ২০২ রানে। ৩৩ রানের হারে সেরা দুইয়ে থাকা অনিশ্চিত হয়ে গেল শুবমান গিলদের।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা গুজরাট ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার গিল ও সাই সুদর্শন। ৪ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৪২ রান। কিন্তু পঞ্চম ওভারে ও’রুর্কের বলে সুদর্শন আউট হলে খেই হারাতে শুরু করে গুজরাট। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলকে ৮৫ রানে রেখে ফেরেন অধিনায়ক গিল। তিনে নামা জস বাটলারের ইনিংসও বড় হয়নি। ১৮ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন আকাশ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে।
গুজরাটের হয়ে এরপর জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখেন শাহরুখ খান। পাঁচে নামা এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হলে সেই সম্ভাবনাও মিইয়ে যায়। শেষ ৪ ওভারে ২০ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে গুজরাট থামে ২০২ রানে।
এর আগে লক্ষ্ণৌকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ১২১ রানের জুটি। মার্শ ১০ চার ৮ ছক্কায় ৬৪ বলে ১১৭ রান করে ফিরলেও পুরান অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৫৬ রান করে।
এবারের মৌসুমে গুজরাটের বিপক্ষে টানা দুই জয়ের পর আক্ষেপ করতেই পারে লক্ষ্ণৌ। গুজরাট এবারের আসরে একবারও টানা দুই ম্যাচ না হারায় এখন ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। বিপরীতে নবম থেকে ১২তম টানা চার ম্যাচ হেরে লক্ষ্ণৌ এখন ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায়ের পথে।