সম্ভাব্য প্রায় সব ট্রফিই জিতেছেন। বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ঘরোয়া লিগসহ সব মিলিয়ে তাঁর ট্রফির সংখ্যা ৪৬। ইতিহাসে আর কারও এত বেশি ট্রফি জয়ের রেকর্ড নেই। কিন্তু এত অর্জনের পরও থামছে না মেসির ট্রফি জয়ের অভিযান। এবার মেসির সামনে ইন্টার মায়ামিকে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতানোর নতুন চ্যালেঞ্জ। জিততে পারলে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মুকুটে যুক্ত হবে নতুন পালক।
এর আগেও তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি জিতেছেন মেসি। কিন্তু সেসব টুর্নামেন্টের সঙ্গে এবারের প্রতিযোগিতার মৌলিক পার্থক্য আছে। এবারের ক্লাব বিশ্বকাপকে ঢেলে সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতাও আর আগের মতো থাকবে না। তবে চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক, মেসি চান এই টুর্নামেন্টও নিজের করে নিতে।
ক্লাব বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের সঙ্গে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন মেসি। আগামীকাল রোববার সকাল ৬টায় আল আহলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে মেসিদের বিশ্বকাপ অভিযান। নতুন এই অভিযান শুরুর আগে নিজের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী মেসি। বলেছেন, মাঠে নামার জন্য তিনি রোমাঞ্চিত হয়ে অপেক্ষা করছেন।
ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনায় মেসি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটি একটি সুন্দর টুর্নামেন্ট। এখানে থাকতে পারাটা এবং খেলার সুযোগ পাওয়াটা সত্যিই রোমাঞ্চকর। এর আগে অন্য দলের সঙ্গে এখানে খেলেছি, কিন্তু সেটা একেবারেই ভিন্ন মানসিক অবস্থায় খেলেছিলাম। তারপরও আমার মধ্যে উদ্দীপনা ও আশা অটুট রয়েছে। পাশাপাশি সামনে রয়েছে সেরাদের সঙ্গে লড়াই করার সুযোগ। ভালো খেলার আশা করছি।’

এ সময় আর্জেন্টাইন মহাতারকা এবারের টুর্নামেন্টটির গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। এবারই প্রথম নতুন বিন্যাসে ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে, যেখানে রয়েছে গ্রুপ পর্ব ও নকআউট রাউন্ড।
যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতা নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো ও বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাবের জন্য এটা একটা দারুণ সুযোগ, কারণ তারা ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের মুখোমুখি হতে পারবে আর এই বড় ক্লাবগুলো বিশ্ব ফুটবলে মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, যেখানে রয়েছে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়েরা। খেলোয়াড় ও সমর্থক উভয়কে ঘিরে এটি হতে যাচ্ছে বিশেষ এক অভিজ্ঞতা।’