সব পরিসংখ্যানই ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে। প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে আগের ১৮ ম্যাচের মাত্র দুটিতে হেরেছে তারা। এর আগে লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একবারই আর্সেনালকে আতিথ্য দিয়েছে। এর সঙ্গে ছিল একটি মাইলফলকের হাতছানি-সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আর্সেনালের বিপক্ষে ১০০ তম জয়ের!
সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নামা রুবেন আমোরিমের দল ব্যর্থ হয়েছে। পরিসংখ্যান পক্ষে থাকলেও ইউনাইটেডের সেই সুসময় যে আর নেই। ভুলে যাওয়ার একটি মৌসুমই গতবার কেটেছে ইউনাইটেডের। ১৮টি ম্যাচ হেরেছে,৯টি ড্র করেছে; লিগ শেষ করেছিল ১৫ তম হয়ে।
সেবার তবু লিগের প্রথম ও শেষ ম্যাচটি জিতেছিল আমোরিমের দল। এবার তাদের শুরুই হলো হার দিয়ে। আর্সেনালের কাছে আজ নিজেদের মাঠে ইউনাইটেডের হারটি অবশ্য ন্যূনতম ব্যবধানে,১-০ গোলে।

আসলে ভাগ্যও ইউনাইটেডের সহায় হয়নি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেললেও ১৩ মিনিটেই গোল খেয়ে বসে তারা, সেটাও খেলার ধারার বিপরীতে। ডেকলান রাইসের কর্নার থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার রিকার্দো কালাফিউরি।
পিছিয়ে পড়ে ইউনাইটেড যেন আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। বলের দখল, গোলে শট, লক্ষ্যে রাখা শট-সব দিক থেকেই আর্সেনালকে পেছনে ফেলে তারা। সব মিলিয়ে ৬২ শতাংশ বল দখল ছিল ইউনাইটেডের। আর্সেনালের ৯ শটের বিপরীতে গোলে তারা শট নেয় ২২ টি। ইউনাইটেড ২২ শটের ৭টিই লক্ষ্যে রাখে, আর্সেনাল লক্ষ্যে রাখতে পারে মোটে ৩টি শট।
এরপরও হেরে যাওয়া দলের নাম ইউনাইটেড। একই সঙ্গে এটা এ মৌসুমে ২৭ কোটি ১০ লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা) কেনা দলটির ফরোয়ার্ডদের গোলের অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করা আর প্রতিপক্ষ আর্সেনালের গোলকিপার ডেভিড রায়ার দুর্দান্ত কিপিংয়ের কারণে।