৩২ রানে নেই ৬ উইকেট, হ্যাটট্রিকসহ থুসারার ৪ উইকেট সংকটে বাংলাদেশ

0
107
শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ জিততে ১৭৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থেমেছে শ্রীলঙ্কা।

৮.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে নুয়ান থুসারার হ্যাটট্রিকে কাঁপছে বাংলাদেশ। ১৫ রানেই ৪ উইকেট নেই স্বাগতিকদের। তৃতীয় ওভারে ধনাঞ্জয়ার বলে লিটন (৭) ফিরতেই বাংলাদেশের ত্রাস হয়ে আসে নুয়ান থুসারা। চতুর্থ ওভারে থুসারা একে একে ফিরিয়েছেন শান্ত, হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বোল্ড হয়ে ফেরার আগে করেন ৬ বলে ১ রান। চার নম্বরে নেমে বোল্ড হয়ে শূন্যহাতেই সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন নুয়ান থুসারা। এতে পঞ্চম শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক পেলেন থুসারা। পাথিরানা ছিটকে যাওয়াতেই এই ম্যাচে সুযোগ পেলেন তিনি। থুসারার চতুর্থ শিকার এবার সৌম্য। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১০ বলে ১১ রান করেন তিনি।

থুসারা ঝড় সামলে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন জাকের ও মেহেদী। কিন্তু এবার পারলেন না জাকের। হাসারাঙ্গার গুগলিতে ১৩ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এতে ৩২ রানেই ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে ফেরান তাসকিন। লঙ্কানদের দলীয় ১৮ রানে তাকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাসকিন। দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। অষ্টম ওভারে রিশাদের বলে শরিফুলের ক্যাচ হয়ে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। ১২ বলে ১২ রান করেন তিনি।

শুরু থেকে আঁটসাঁট খেললেও মুস্তাফিজের নির্বিষ বোলিংয়ে তৃতীয় উইকেটে হাত ছেড়ে খেলে লঙ্কানরা। দশম ওভারে সর্বোচ্চ ১৮ রান দিয়েছে টাইগার এই কাটার মাস্টার। ৩৫ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সংস্করণে ৮ ম্যাচে মেন্ডিসের ষষ্ঠ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস এটি। সব মিলিয়ে তার ফিফটি ১৪টি। দলীয় ১১১ রানে হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে খরুচে মুস্তাফিজেই ভাঙে এই জুটি। শরিফুলকে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বলে ১৫ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। এতে মেন্ডিসের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের জুটি থেমেছে ৩১ বলে ৫৯ রানে। ৩ রানের বেশি করতে পারেননি চারিথ আসালাঙ্কা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ থার্ড ম্যাচে শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন।

শ্রীলঙ্কার ইনিংসে কুশলের ৮৬ রান ছাড়া বাকিদের মধ্যে কেউই ব্যক্তিগত সংগহ ২০ রানের ওপরে নিতে পারেননি। ইনিংসের ১৭ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৫৬.৩৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন কুশল। ৫৫ বলের ইনিংসে ছয়টি ছক্কার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন আরও ৬টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে দাসুন শানাকার ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট করে নেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজ বরাবরের মতো ছিলেন বেজায় খরুচে। ৪ ওভার দেন ৪৭ রান। বাহাতি পেসার শরিফুলের পকেটে গেছে এক উইকেট।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কার একাদশ: ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদেরা সামারাবিক্রমা, চারিথা  আশালঙ্কা, অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস, দাশুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, বিনোরা ফার্নান্দো, নুয়ান থুসারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.