ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ভালোবাসতেন। তবে ফ্রিস্টাইলের সঙ্গে আতিকের পরিচয় হয় ২০১৭-১৮ সালে। চর্চা শুরু করেন তিনি। একসময় অ্যারাউন্ড দ্য মুনও রপ্ত করে ফেলেন। একসময় যখন দেখলেন যে বেশ ক্ষিপ্রতার সঙ্গেই দ্রুতগতিতে মাথার চারপাশে বল ঘোরাতে পারছেন, রেকর্ডের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন তিনি।
২ ফেব্রুয়ারি ক্যামেরার সামনে রেকর্ডটি করেন আতিক। পরদিন ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য গিনেস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। দীর্ঘ ১৮ সপ্তাহ পর সুখবর আসে। ১৩ জুন এক মেইল বার্তায় জানতে পারেন, রেকর্ডে তাঁর নাম স্থান পেয়েছে।
এর আগের রেকর্ডটিও ছিল একজন বাংলাদেশির, নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী মুনতাকিম উল ইসলামের। ৩০ সেকেন্ডে ২৭ বার ফুটবল ঘুরিয়ে রেকর্ড করেছিলেন তিনি। আগের রেকর্ডধারী মুনতাকিম বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম দেড় বছর পর আমার রেকর্ডটা অন্য কেউ নিজের করে নিয়েছে, খারাপ লেগেছে। পরে যখন জানলাম নতুন রেকর্ডধারী আর কেউ নয়, আমার কলেজেরই সিনিয়র আতিক ভাইয়া, তখন ভালো লেগেছে। ভাইয়াকে অভিনন্দন।’
আতিক জানালেন, প্রকৌশলের শিক্ষার্থী হওয়ায় পড়ালেখা নিয়ে চাপে থাকতে হয়। ফ্রিস্টাইলের জন্য আলাদা করে সময় দেওয়া তার জন্য বেশ কঠিন। মানুষকে নিজের কাজটা বোঝানো আরও দুরূহ। লোকে বলে, “এগুলো করে কী লাভ! ফুটবল মাঠে এসব তো কোনো কাজে আসে না।” অথচ ফ্রিস্টাইলেরও কিন্তু একটা আলাদা জগৎ আছে।’
পড়ালেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্র ও খেলাধুলা সংক্রান্ত ভিডিও বানান আতিক। সামনের দিনে ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দেশে ফ্রিস্টাইলকে জনপ্রিয় করতে চান। এ ছাড়া ফ্রিস্টাইল ফুটবল শেখানোরও ইচ্ছে আছে এই তরুণের।