হাথুরুর বিকল্প বোলার যখন শান্ত

0
94

রাসেল ডমিঙ্গোর বিদায়ের পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে কোচ করার ভেতর দিয়ে একটা স্বপ্ন বপন করেছে বিসিবি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের অতীত ছাপিয়ে যাওয়া। হাথুরুসিংহেও কিছু একটা করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। যেমন নিয়েছিলেন ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপে। মাত্র ৯ মাসের কোচিং অভিজ্ঞতা দিয়ে গুছিয়ে নিয়েছিলেন দলকে। এবারের দল সম্পর্কে ভালো জানাশোনা হাথুরুসিংহের। সব কিছু নিয়েই গভীর পড়াশোনা করা হয়ে গেছে তাঁর। প্রতিপক্ষ ধরে ভারতের কন্ডিশনে গেম প্ল্যান ল্যাপটপ বন্দি করছেন তিনি। ক্রিকেটারদের নিয়ে টুকটাক মহড়াও দিচ্ছেন অনুশীলনে। কৌশলগুলোকে শানিত করে নিতে চান এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে। এমন একটি কৌশল হলো ব্যাটারদের থেকে এক বা দু’জনকে বিকল্প স্পিনার হিসেবে প্রস্তুত করে নেওয়া। এ ক্ষেত্রে কোচের অগ্রাধিকার পাচ্ছেন একাদশের নিয়মিত সদস্য নাজমুল হোসেন শান্ত। স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথকে বলা হয়েছে শান্তর বোলিং নিয়ে কাজ করতে। কারণ, তাঁকে দিয়ে বিকল্প বোলার হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ওভার করাতে চান হাথুরুসিংহে।
এভাবে বিকল্প বোলার খোঁজার পেছনে একটা কারণ রয়েছে। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে স্পিন কোচ হেরাথকে বলেছেন, তিনি প্রতি ম্যাচে তিন স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শেখ মেহেদীকে খেলাতে পারবেন না। শেখ মেহেদী যে ম্যাচ খেলবেন না, সে ম্যাচে ষষ্ঠ বোলারের ভূমিকা পালন করতে হবে শান্তকে। এ সুযোগ আফিফ হোসেনের জন্যও রেখেছেন কোচ। এ কারণে স্কোয়াডের বিকল্প বোলারদের জন্য অনুশীলন সেশন রাখা হচ্ছে। সুযোগটা লুফে নিয়েছেন শান্ত। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং নিয়ে বেশ কাজ করছেন তিনি। কারণ এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে বোলিংয়েও নিজেকে প্রমাণ করার দারুণ সুযোগ। যেখানে ভালো করতে পারলে অলরাউন্ডারের তকমাটাও জুটে যেতে পারে। স্পিনার মিরাজ যেমন নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তুলেছেন জাতীয় দলে। আবার কাঁধের ব্যথার কারণে বোলিং না করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে গেছেন শুধুই ব্যাটার। সেদিক থেকে শান্তর জন্য এটা দারুণ একটা সুযোগও।
এশিয়া কাপে ১৭ জনের স্কোয়াড থাকায় বোলার এবং ব্যাটার বেশি নেওয়া সম্ভব হলেও বিশ্বকাপ সে সুযোগ দেবে না। এ কারণে ১৫ জনের দলকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে সব ধরনের বিকল্প ভেবে রেখেছেন টাইগার প্রধান কোচ। এসবের মহড়া এশিয়া কাপে দেওয়া হবে। একজন নিয়মিত ক্রিকেটার খেলতে না পারলে ব্যাটিং অর্ডার ওপর-নিচ করে দেখবেন কোচ। পারিবারিক কারণে নাজমুল হোসেন শান্তকে ছুটি দিতে হতে পারে এশিয়া কাপের একটি ম্যাচ থেকে। কারণ টুর্নামেন্ট চলাকালে সন্তানের পিতা হতে পারেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বকাপ মাথায় রেখে জাতীয় দলের পুলে থাকা অতিরিক্ত ক্রিকেটারদের বিশেষ অনুশীলনে রেখেছেন প্রধান কোচ। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, সাইফ হাসান, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুশীলনে রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেওয়ারও শেষ দিন ৫ সেপ্টেম্বর। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, হাথুরুসিংহে বিকল্পের সব পথ খোলা রাখছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.