কুমিল্লার চান্দিনায় দুই শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার সকালে ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার কিশোর চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। মামলার অন্য আসামি হলেন মো. রুবেল ও মো. ইউসুফ। তারা সদ্য ঘোষিত ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, চান্দিনার মোহনপুর মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী গত শনিবার বিকেলে কিস্তির টাকা দিয়ে সাব্বিরের অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিল। পথে রুবেল, ইউসুফসহ ৩ জন অটোরিকশায় ওঠেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তুলে নিয়ে তুলাপুকুরিয়া এলাকায় ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণ করেন তারা।
মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, তার চোখ বাঁধা ছিল। তাই কে বা কয়জন ছিল তা বলতে সম্ভব হচ্ছে না। তবে শুরু থেকে তারা ৩-৪ জন ছিল। ধর্ষণের পর রাস্তায় নিয়ে চোখ খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় মাতব্বররা। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে এলাকায় সালিসও বসে। ওই সালিসে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করতে চাইলে অস্বীকৃতি জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, সোমবার সকালে এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩ ও অজ্ঞাত ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।