ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, গ্রেপ্তারের পর বালিয়াকান্দি থানা ও পরে মধুখালী থানায় তৌহিদকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
তৌহিদ খানসহ সোনা ডাকাতির এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার ভোরে মধুখালীর পশ্চিম আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রইচ মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রইচ মিয়া টোল প্লাজায় কাজ করতেন। ওই দিন বিকেলে তিনি ফরিদপুরের পাঁচ নম্বর আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, রোববার তিনি ও তৌহিদ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। সেখান থেকে দুপুরে তাঁরা দুজন বালিয়াকান্দি ফিরে আসেন। পরে তিনি মুঠোফোনে জানতে পারেন তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তিনি বালিয়াকান্দি থানায় গেলেও ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় গ্রেপ্তারের পর তৌহিদের সঙ্গে তাঁর দেখা ও কথা হয়নি।
এর আগে শুক্রবার রাতে মধুখালী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে ডাকাতির মামলা করেন মো. রাসেল মিয়া (৩২) নামের এক সোনা ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ঢাকার তাঁতীবাজারে তাঁর দুটি সোনার দোকান আছে। তিনি গয়না বানানোর জন্য চুয়াডাঙ্গার বড় বাজার এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাঁর কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া সোনার মূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাসেল মিয়া শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার বড় বাজারে যাওয়ার জন্য বরিশালগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে সোনার বারগুলো ছিল। সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। সেখান থেকে খান পরিবহনের একটি বাসে করে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খান পরিবহনের বাসটি মধুখালী উপজেলার পশ্চিম আড়পাড়া এলাকার কামারখালী গড়াই সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছায়। টোল পরিশোধের জন্য বাসটি থামলে ৮-৯ জন একটি মোটরসাইকেল সামনে থামিয়ে বাসটি আটকান। এরপর তাঁরা বাসের ভেতরে উঠে ওই ব্যবসায়ীকে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে নিচে নামান।