বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ রেকর্ড ৩১৯ রান তাড়া করে জিতেছে। রোববার একই মাঠে ব্যাটাররা সেট হয়ে আউট হওয়ায় বড় রান হলো না সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে নামা বাংলাদেশ দলের। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সাত বল থাকতে ২৭৪ রানে অলআউট হয়েছে।
চেমসফোর্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে থাকায় একাদশে আনতে হয়েছে তিন পরিবর্তন। রনি তালুকদারের অভিষেক করানো হয়েছে। স্পিনার তাইজুল ইসলামকে বাদ দিয়ে অভিষেক করানো হয়েছে তরুণ বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে। এছাড়া শরিফুল ইসলামকে বিশ্রাম দিয়ে মুস্তাফিককে নেওয়া হয় একাদশে।
ব্যাট হাতে শুরুতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান টি-২০ ফরম্যাটে দারুণ টেম্পারমেন্ট দেখানো রনি তালুকদার (৪)। এরপর ওপেনার তামিম ও নাজমুল শান্ত ৫৯ রান যোগ করেন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শান্ত এই ম্যাচেও সাবলীল ব্যাট করছিলেন। কিন্তু ৩২ বল খেলে সাত চারে ৩৫ রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
চারে নামা লিটন দাস অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে নতুন জুটি দাঁড় করান। তারা যোগ করেন ৭০ রান। সহজে ব্যাটে বল পাওয়া ডানহাতি ব্যাটার লিটন ৩৯ বলে তিন চার ও একটি ছক্কার শটে ৩৫ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর দারুণ ছন্দে থাকা তাওহিদ হৃদয় ১৩ রান করে আউট হন।
ওপেনার তামিম ও মুশফিক ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ার আশা দিলেও তা লম্বা হয়নি। সাদা বলের ক্রিকেটে অফ ফর্মে থাকা তামিম ৮২ বলের মুখোমুখি হয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান তুলে আউট হন। বাঁ-হাতি এই ওপেনার ছয়টি চার মারেন।
এরপর মুশফিক ও মিরাজের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং জুটি থেকে ৭৫ রান পায় বাংলাদেশ। তারা দু’জন দলকে তিনশ’ রানের পথে তুলে নেন। কিন্তু দুই সেট ব্যাটসম্যান চার রানের ব্যবধানে ফিরলে ওই আশা শেষ হয়। মুশফিক ফিরে যান ৫৪ বলে ৪৫ রান করে। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৩৭ রান।
আইরিশদের হয়ে মার্ক এডায়ার দারুণ বোলিং করেছেন। তিনি ৮.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪০ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন। স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকর্বিনি ও জর্জ ডকরেল দুটি করে উইকেট নেন। ক্রেগ ইয়ং নেন একটি উইকেট।