কোরবানির ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। অথচ কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ‘কালাবাবু’ নামের ২৫ মণ ওজনের গরুটি বিক্রি হয়নি। হাঁকানো দাম থেকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা কম বলেছিলেন ক্রেতারা। আর ৫০ হাজার টাকা বললেই কালাবাবুকে বিক্রি করে দিতেন মালিক। তবে শেষ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখের ওপরে কেউ এর দাম বলেননি।
কালাবাবুর মালিক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী রাশেদুল করিম। গরুর দাম কম বলায় এবং বাজারে আনা–নেওয়ায় খরচ বেশি হওয়ায় অনেকটা রাগে-অভিমানে গরুটিকে চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা গরুর বাজারে নেওয়ার কথা থাকলেও নেননি। এখন কালাবাবুর পেছনে প্রতিদিন তাঁর খরচ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
রাশেদুল করিম বলেন, তিনি কালাবাবুর দাম চেয়েছিলেন ১২ লাখ টাকা। ক্রেতারা সর্বোচ্চ সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছেন। তখন কেউ ৮ লাখ টাকা বললে তিনি বিক্রি করে দিতেন। শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি ‘কালাবাবু’। সম্প্রতি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে গরুটি কিনতে কয়েকজন তাঁর ফোন নম্বর নিয়ে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। কথাবার্তায় একমত হলে কালাবাবুকে এখানেই বিক্রি করে দেবেন।
এবার বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম বেশি ছিল বলে জানালেন রাশেদুল করিম। বড় গরু কেনার ক্রেতা তেমন ছিলেন না। তাই অনেক কম দাম চাওয়া সত্ত্বেও তাঁদের গরু বিক্রি হয়নি। শুধু তাঁর বড় গরু বিক্রি হয়নি, এমন নয়; এ রকম বড় গরু সীতাকুণ্ডে যে কয়জন খামারির কাছে ছিল তাঁদের কারও গরুই বিক্রি হয়নি। মানুষের বড় গরু কেনার আগ্রহ কম দেখে দুই দিনের বেশি কালাবাবুকে হাটে তোলেননি তিনি।
রাশেদুল করিম বলেন, তাঁর গরুর রয়ে গেছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, তাঁর মূল ব্যবসা গরুর ব্যবসা নয়। শখের বসে গরুটিকে বড় করছেন তিনি। সাড়ে তিন বছর আগে ছয় দিনের বাচ্চাসহ একটি গাভি কিনেছিলেন তিনি। এরপর লালন–পালন করে আজকের এই কালাবাবু।